ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান; ১০০টিরও বেশি ড্রোন ছুঁড়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে সবার নজর এখন লন্ডনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এক দিনে ১০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত ইসরায়েলি হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে তেহরান ইসরায়েলকে ‘ভয়াবহ পরিণামের’ হুঁশিয়ারি দিলেন খামেনি ইরানের রাডার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো তৃতীয় ধাপে আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র যতক্ষণ প্রয়োজন ইরানে হামলা চলবে: নেতানিয়াহু

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধন আসতে পারে, অপেক্ষা করতে হবে : আইনমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মার্চ ২০২১
  • ৩২৬ Time View

কিছুদিনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আপনারা সবাই যদি শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত পাল্টে যাবে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সে প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, বিতর্কিত এ আইন পরিবর্তন বা সংশোধন করার কোনো পরিকল্পনা বা সম্ভাবনা আছে কি না। উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কিছু দিনের মধ্যেই দেখবেন।”

এর আগে গত ১ মার্চ আইনমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “এই আইনে কোনো অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না- এমন একটি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

দেশের সাংবাদিক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আপত্তি ও উদ্বেগের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ব্যাপক সমালোচিত ৫৭সহ কয়েকটি ধারা বাতিল করে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হলেও পুরনো আইনের বাতিল হওয়া ধারাগুলো নতুন আইনে রেখে দেওয়ায় এর অপপ্রয়োগের শঙ্কা থেকেই যায়।

পরে আইনমন্ত্রী স্টেশনের বাইরে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, আপনাদের সাহসে পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মানচিত্র বদলে গেছে। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। সবই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. আবু সাঈদ, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, ইউএনও মোহাম্মদ নূর-এ আলম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মন্ত্রী প্রায় এক বছর পর তার নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় যান। এ সময় শতাধিক সংগঠন ও ব্যক্তি ফুলেল শুভেচ্ছাসহ মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
তবে আইনমন্ত্রীর সামনে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার  বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এসময় প্রায় ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আনিসুল হক দীর্ঘদিন পর আখাউড়ায় একটি সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন।
এরপর কসবা উপজেলায় সড়ক পথে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মার্ট ভোটার আইডি বিতরণ করতে যান। মন্ত্রী আসার কিছু আগে কসবা পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও মেয়র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম এ আজিজের সমর্থকরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এর কিছুক্ষণ পরই দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ১৫ মিনিট সংঘর্ষ শেষে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এরপর আইনমন্ত্রী উপজেলা পরিষদে আসেন পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। অনুষ্ঠান চলাকালে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জুয়েল-আজিজ সমর্থকরা।
এ বিষয়ে কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।

Tag :
জনপ্রিয়

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান; ১০০টিরও বেশি ড্রোন ছুঁড়েছে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধন আসতে পারে, অপেক্ষা করতে হবে : আইনমন্ত্রী

Update Time : ০৯:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মার্চ ২০২১

কিছুদিনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আপনারা সবাই যদি শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত পাল্টে যাবে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সে প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, বিতর্কিত এ আইন পরিবর্তন বা সংশোধন করার কোনো পরিকল্পনা বা সম্ভাবনা আছে কি না। উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কিছু দিনের মধ্যেই দেখবেন।”

এর আগে গত ১ মার্চ আইনমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “এই আইনে কোনো অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না- এমন একটি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

দেশের সাংবাদিক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আপত্তি ও উদ্বেগের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ব্যাপক সমালোচিত ৫৭সহ কয়েকটি ধারা বাতিল করে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হলেও পুরনো আইনের বাতিল হওয়া ধারাগুলো নতুন আইনে রেখে দেওয়ায় এর অপপ্রয়োগের শঙ্কা থেকেই যায়।

পরে আইনমন্ত্রী স্টেশনের বাইরে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, আপনাদের সাহসে পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মানচিত্র বদলে গেছে। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। সবই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. আবু সাঈদ, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, ইউএনও মোহাম্মদ নূর-এ আলম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মন্ত্রী প্রায় এক বছর পর তার নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় যান। এ সময় শতাধিক সংগঠন ও ব্যক্তি ফুলেল শুভেচ্ছাসহ মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
তবে আইনমন্ত্রীর সামনে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার  বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এসময় প্রায় ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আনিসুল হক দীর্ঘদিন পর আখাউড়ায় একটি সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন।
এরপর কসবা উপজেলায় সড়ক পথে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মার্ট ভোটার আইডি বিতরণ করতে যান। মন্ত্রী আসার কিছু আগে কসবা পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও মেয়র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম এ আজিজের সমর্থকরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এর কিছুক্ষণ পরই দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ১৫ মিনিট সংঘর্ষ শেষে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এরপর আইনমন্ত্রী উপজেলা পরিষদে আসেন পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। অনুষ্ঠান চলাকালে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জুয়েল-আজিজ সমর্থকরা।
এ বিষয়ে কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।