ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে: বিএনপি মহাসচিব অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে গ্রেপ্তার ১৫২১ দেশের বাজারে সোনার দাম বেড়ে দেড় লাখ ছুঁই ছুঁই করছে আট দিনে ৬৪ জেলায় সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি এ বছর ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ তিন বছরের মধ্যে একটি হতে পারে: মেট লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার চুক্তি অনুযায়ী তিন জিম্মির বিনিময়ে ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ১০ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের দাবিসহ কয়েকটি দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’- এর ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে, তবে কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে; ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে, এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে; প্রতি জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটাপদ্ধতির কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘কোটা-বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় কোটাপদ্ধতির ঠাঁই নাই’, ‘১৮-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘বৈষম্যর বিরুদ্ধে লড়াই করো একসাথে’, ‘ঝড়বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি রাজপথে’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া বিক্ষোভ চলাকালে বিখ্যাত কবিদের বিভিন্ন প্রতিবাদী কবিতা ও সংগ্রামী গান পরিবেশন করা হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচির মুখপাত্র ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। আমরা হাইকোর্টের বিচারকদের মতো জ্ঞান রাখি না। তবে আমরা এটা জানি, এক শতাংশের কম জনসংখ্যার জন্য ৩০ শতাংশ কোটা অন্যায্য। এটা বুঝতে পৃথিবীর কোনো আইন জানা লাগে না। আমাদের দাবিগুলো স্পষ্ট, আমাদের আইন বুঝার দরকার নেই। দাবি কীভাবে আদায় করতে হয় তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলমান থাকবে।
আন্দোলনে আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম বলেন, সরকারি চাকরিতে কোনো প্রকার কোটা রাখা যাবে না। আমরা কোটা দিয়ে কামলা না, মেধা দিয়ে আমলা চাই। আমাদের এ সোনার বাংলায় কোটা ব্যবস্থার ঠাঁই নেই। দাবি আদায় না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে।
গত ৫ জুন সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন।
Tag :

অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে: বিএনপি মহাসচিব

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

Update Time : ০৭:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের দাবিসহ কয়েকটি দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’- এর ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে, তবে কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে; ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে, এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে; প্রতি জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটাপদ্ধতির কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘কোটা-বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় কোটাপদ্ধতির ঠাঁই নাই’, ‘১৮-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘বৈষম্যর বিরুদ্ধে লড়াই করো একসাথে’, ‘ঝড়বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি রাজপথে’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া বিক্ষোভ চলাকালে বিখ্যাত কবিদের বিভিন্ন প্রতিবাদী কবিতা ও সংগ্রামী গান পরিবেশন করা হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচির মুখপাত্র ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। আমরা হাইকোর্টের বিচারকদের মতো জ্ঞান রাখি না। তবে আমরা এটা জানি, এক শতাংশের কম জনসংখ্যার জন্য ৩০ শতাংশ কোটা অন্যায্য। এটা বুঝতে পৃথিবীর কোনো আইন জানা লাগে না। আমাদের দাবিগুলো স্পষ্ট, আমাদের আইন বুঝার দরকার নেই। দাবি কীভাবে আদায় করতে হয় তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলমান থাকবে।
আন্দোলনে আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম বলেন, সরকারি চাকরিতে কোনো প্রকার কোটা রাখা যাবে না। আমরা কোটা দিয়ে কামলা না, মেধা দিয়ে আমলা চাই। আমাদের এ সোনার বাংলায় কোটা ব্যবস্থার ঠাঁই নেই। দাবি আদায় না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে।
গত ৫ জুন সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন।