ভারতে অনুষ্ঠেয় ক্রিকেট মহারণ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বুধবার দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে টাইগারদের দেশ ছাড়ার দিনে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে সাকিবের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার। সেখানে বিভিন্ন প্রসঙ্গের পাশাপাশি উঠে আসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাকিব কবে বিদায় নিতে চান সেই বিষয়টিও।
সাকিব বলেন, ‘এই বিশ্বকাপই শেষ। এরপর একদিনও (অধিনায়কত্ব) করবো না। যে কারণে আমি এশিয়া কাপের আগে নিতে চাইনি। এরপরও এটা না। আমার কাছে মনে হয়েছে আমি হাসতে চাই, খেলতে চাই, পারফর্ম করতে চাই। এই একটা কারণে আমি করতে চাইনি।’
সাকিব আরও বলেন, ‘আর কোনে কারণ নেই। বেস্ট হয় যদি অধিনায়ক না থাকি। অধিনায়কত্ব কি আমার কোনো ভেল্যু এড করতেছে ক্যারিয়ারে এই স্টেজে এসে? আমি তো মনে করি না।’
তামিমের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে সাকিব বলেন, আমি কখনও ভাবিও নাই কেউ ওই সময় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিবে!
সাকিব খোলাসা করেছেন রিয়াদকে এশিয়া কাপের দলে না রাখায় তার কোন হাত ছিল না। সাকিব বলেন, ‘আমাকে এশিয়া কাপের দলে পাঠালো। আমি দেখলাম রিয়াদ ভাই দলে নেই। আমার কিছু বলার ও ছিল না, কারণ পরের দিনে সবাই রওনা দিয়েছে। আমাকে সবাই বলতেছে আমি নাকী রিয়াদ ভাইকে নেইনি। এইসব হাস্যকর কথা। মানুষের সাইলকোলজি এমন কেন। আমি কিছুই জানি না। তাও আমার দোষ দেয়া হয়েছে।’
সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে এসে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়, সাকিব তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন? উত্তরে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার আমি যদি দেখি, এখন পর্যন্ত, ২০২৫-এর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।’
সাকিব খোলাসা করেছেন রিয়াদকে এশিয়া কাপের দলে না রাখায় তার কোন হাত ছিল না। সাকিব বলেন, ‘আমাকে এশিয়া কাপের দলে পাঠালো। আমি দেখলাম রিয়াদ ভাই দলে নেই। আমার কিছু বলার ও ছিল না, কারণ পরের দিনে সবাই রওনা দিয়েছে। আমাকে সবাই বলতেছে আমি নাকী রিয়াদ ভাইকে নেইনি। এইসব হাস্যকর কথা। মানুষের সাইলকোলজি এমন কেন। আমি কিছুই জানি না। তাও আমার দোষ দেয়া হয়েছে।’
সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে এসে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়, সাকিব তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন? উত্তরে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার আমি যদি দেখি, এখন পর্যন্ত, ২০২৫-এর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।’
সাকিবকে জিজ্ঞেস করা হয়, এটা তো ওয়ানডে সংস্করণের জন্য? তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা ওয়ানডের জন্য।’ তাহলে টি-টোয়েন্টি আর কত দিন খেলবেন সাকিব? ‘২০২৪ বিশ্বকাপ, দ্যাটস ইট’—সাকিবের উত্তর। আর টেস্ট? ‘হয়তো আরও আগেই ছেড়ে দেব’—সাকিব সরাসরিই জানিয়ে দেন।
তবে এরপর যে আর খেলবেন না, এমন নিশ্চয়তা দেননি সাকিব। পরিস্থিতির ওপরেই অবসর নির্ভর করে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘তিন ফরম্যাটে অবসর নেব একসাথে। আগে একটা একটা করে খেলা ছেড়ে দিয়ে একসাথে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর অবসর নেব। তবে ভবিষ্যত তো কেউ জানে না। এখনকার হিসেবে এরকম একটা আইডিয়া করা আছে।’