আবাহাওয়া অফিসের মতে উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে এখন মৃদু থেকে মাঝারী ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে পর পর চারদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড তেঁতুলিয়ার দখলে থাকলেও শনিবার তা দখলে নিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। সেখানে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারের চেয়ে আরো এক দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাত দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
বৃহস্পতিবারের মত শুক্রবারেও সন্ধ্যার পর থেকেই কনকনে শীত অনুভূত হয়েছে পঞ্চগড়ে। রাত বাড়ার সাথে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তবে আকাশে মেঘ না থাকা এবং হালকা কুয়াশার কারণে শেষ রাতে তুলনামূলকভাবে কম শীত অনুভূত হয়েছে। মেঘমুক্ত আকাশে খুব সকালেই দেখা মেলে সূর্য মামার। তবে সকাল থেকেই হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ার কারণে রোদের উত্তাপ ছড়ায়নি। এ অবস্থা চলেছে বিকেল পর্যন্ত।
এদিকে কনকনে শীতের কারণে জবুথবু হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে পঞ্চগড়ের কয়েক লাখ মানুষ। উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা সাধ্য অনুযায়ী শীত নিবারণে জন্য শীতবস্ত্র কিনতে পারলেও খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষগুলো রয়েছে চরম দুর্ভোগে। তারা এখনও তাকিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিনামূল্যে বিতরণের শীতবস্ত্রের দিকে। তবে সরকারি অপ্রতুল শীতবস্ত্র আর বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের শীত নিবারণের উপায় খড়কুটো দিয়ে জ্বালানো আগুন। শীত প্রধান দেশগুলোর মত গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে দিনে-রাতে আগুন জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, উত্তর গোলার্ধের সাইবেরিয়ান বাতাস হিমালয়ের সাথে ধাক্কা লেগে সরাসরি পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন দিকে দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। এ কারণে হিম শীতল বাতাসে দ্রুত তাপমাত্রা কমে আসায় উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এ অবস্থা আরো দুই-তিনদিন থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং টাংগাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শীমঙ্গল, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।