ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
বারবার ব্যাংক ঋণে সুদহার বৃদ্ধিতে চরম সংকটে পড়েছে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১৩. ৮০ শতাংশ মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতমূলক পরিবেশের কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: পুতিন শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার না করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত আজ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি রোগী বয়কট না করার সিদ্ধান্ত ভারতের চিকিৎসকদের ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে গাজা উপত্যকার ‘সেফ জোন’ লক্ষ্য করে আবারও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, ‘পুড়ে ছাই’ নারী-শিশুসহ ২০ জন পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগে তিনজনকে আটক এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

থার্টি ফার্স্ট নাইটে বার, ডিজে বন্ধ

আজ  সোমবার (২১ ডিসেম্বর ) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে এক সমন্বয় সভায় জানানো হয়  খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ ও ইংরেজি নববর্ষ ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। থার্টি ফার্স্ট নাইটে বার বন্ধ থাকবে, কোথাও ডিজে পার্টি করতে দেওয়া হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, বড়দিন উপলক্ষে চার্চে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। চার্চগুলোতে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে ভালো হবে।

থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উন্মুক্ত স্থানে লোকসমাগম ও কোনও পার্টি করতে দেওয়া হবে না। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনও স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনোভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থার্টি ফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান করা যাবে না।

কমিশনার আরো বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যা থেকে বারগুলো বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে যথারীতি রাত ৮টার পর সকল ফাস্টফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ থাকবে।

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে সমন্বয় সভায় গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, প্রত্যেকটি চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় কোনও ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনও প্রকার ব্যাগ, পোটলা, বাক্স, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশ পথে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিন অথবা টানেল বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। চার্চের ফাদার ও দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গসহ ভক্ত দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
Tag :
জনপ্রিয়

বারবার ব্যাংক ঋণে সুদহার বৃদ্ধিতে চরম সংকটে পড়েছে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা

থার্টি ফার্স্ট নাইটে বার, ডিজে বন্ধ

Update Time : ০৪:১৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

আজ  সোমবার (২১ ডিসেম্বর ) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে এক সমন্বয় সভায় জানানো হয়  খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ ও ইংরেজি নববর্ষ ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। থার্টি ফার্স্ট নাইটে বার বন্ধ থাকবে, কোথাও ডিজে পার্টি করতে দেওয়া হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, বড়দিন উপলক্ষে চার্চে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। চার্চগুলোতে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে ভালো হবে।

থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উন্মুক্ত স্থানে লোকসমাগম ও কোনও পার্টি করতে দেওয়া হবে না। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনও স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনোভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থার্টি ফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান করা যাবে না।

কমিশনার আরো বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যা থেকে বারগুলো বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে যথারীতি রাত ৮টার পর সকল ফাস্টফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ থাকবে।

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে সমন্বয় সভায় গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, প্রত্যেকটি চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় কোনও ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনও প্রকার ব্যাগ, পোটলা, বাক্স, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশ পথে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিন অথবা টানেল বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। চার্চের ফাদার ও দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গসহ ভক্ত দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।