বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
১৩ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শরৎকাল, ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সারা দেশে টিকাদান শুরু ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২১
  • ১৪৪ Time View

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে ভারত থেকে আনা টিকা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী জানান, আগামীকাল (বুধবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। কাল (বুধবার) ২৫ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। কুর্মিটোলা ছাড়াও আরও ৩-৪টি হাসপাতালে টিকাদান শুরু হবে।

তিনি জানান, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে যারা টিকা পাবেন তাদের ৫ জনের টিকা দেওয়া দেখবেন প্রধানমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো অপ্রপ্রচার দেখছি না। ভ্যাকসিন আমাদের জন্য কোনো রাজনীতি নয়, মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যই এই ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছি।

ভ্যাকসিন নিয়ে যারা বিরূপ প্রচার চালায় তারা কোনোভাবেই দেশের মঙ্গল চায় না মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভ্যাকসিনের বিষয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রথম দিন তিনজন চিকিৎসক, তিনজন নার্স, ১০ জন ভিআইপি নাগরিকসহ মোট ২৫ জনকে করোনা টিকা দেয়া হবে। এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং সংগীতজ্ঞও আছেন। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

তিনি বলেন, “এই হাসপাতালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমেই দেশে টিকা দেওয়া শুরু হয়ে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যুক্ত হয়ে প্রথম পাঁচজনকে টিকা দেওয়া দেখবেন।”

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন কার্যক্রমও চালু হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালের ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি।

করোনা টিকা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনের পর ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর চারটি সরকারি হাসপাতালে এবং একটি স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে টিকাদান করা হবে। ইতোমধ্যে এসব হাসপাতালে টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে আটটি করে স্টেশন করা হবে। প্রত্যেকটি স্টেশনের জন্য দুজন টিকাদান কর্মী এবং চারজন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন।

স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। ইপিআই স্টোরস বা ক্লোড চেইন থেকে টিকা হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে দেবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ। ওই দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ জনকে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ থেকে ১৫০ জন এবং বাকি তিনটি হাসপাতাল যথাক্রমে কুর্মিটোলা, কুয়েত মৈত্রী এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব হাসপাতাল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ২৯৪টি টিকাদান কর্মীর দল করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে অর্থাৎ সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার জন্য আরও ছয় হাজার ৪২৭টি দল করা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও ৬২৩টি টিকাদান দল প্রস্তুত থাকবে। এসব দলে দুজন কর্মী এবং চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102