আজ আরো একবার টপ অর্ডারে বিপর্যয়। ২৮ রানেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট, ৫৯ রানে নেই চারটা। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন সাকিব-হৃদয় জুটি। এরপর নাসুমের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ভর করে আড়াই শ’ রানের গণ্ডি পেরোয় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা করে ২৬৫ রান।
শুক্রবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। এইদিন ৫ পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজান সাকিব আল হাসান। অভিষেক হয় তানজিম সাকিবের। আর একাদশে ফেরেন তানজিদ তামিম, এনামুল হক বিজয়, মোস্তাফিজুর রহমান ও শেখ মেহেদী।
প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আত্নবিশ্বাসী শুরু করেন জুনিয়র তামিম। তবে ৩.১ ওভারেই ফিরেন দুই ওপেনার। মাত্র ১৩ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন লিটন দাস, ভালো শুরুর আশা দেখিয়েও তানজিদ তামিম ফেরেন ১২ বলে ১৩ রানে।
দ্রুত ফেরেন এনামুল হক বিজয়ও। প্রায় ৮ মাস পর দলে প্রত্যাবর্তন ঘটলেও ভালো করতে পারেননি তিনি। ফেরেন ১১ বলে ৪ করে। চেষ্টা করেও টিকে থাকতে পারেননি মেহেদী মিরাজ, এই অলরাউন্ডার ২৮ বলে ১৩ রানে আউট হন। ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে খানিকটা স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেই পথ দেখান সাকিব। তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে তোলার চেষ্টায় মন দেন তিনি। ধুঁকতে থাকা দলটাকে টেনে তুলেন দুজনে। ১১৫ বলে যোগ করেন ১০১ রান।
তবে জুটি আর বড় হয়নি। রান বাড়াতে গিয়ে ৩৩.১ ওভারে ফিরেছেন শতক বিসর্জন দিয়ে। আউট হবার আগে খেলেন ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংস। আসরের দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারে যা সাকিবের ৫৫তম অর্ধশতক। পরে ফিফটি তুলে নেন হৃদয়ও, তবে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি তিনি। ফেরেন ৮১ বলে ৫৪ রানে।
পরের গল্পটা শুধুই নাসুম আহমেদের। আটে নামা এই স্পিনার এইদিন জ্বলে উঠেন ব্যাট হাতে। প্রথমে তাওহীদ হৃদয় ও পরে পার্শ্বনায়ক বানিয়ে দেন শেখ মেহেদীকে। ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতকের কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন, তবে তা আর হয়নি। ৪৮তম ওভারে ফেরেন ৪৫ বলে ৪৪ রান করে।
প্রথম সারির স্বীকৃত পাঁচ ব্যাটসম্যানের মোট রান যেখানে ৩১, সেখানে নাসুমের ৪৪ দলের জন্য আশীর্বাদ বটে। তাছাড়া শেখ মেহেদী ২৩ বলে ২৯ ও তানজিম সাকিব অপরাজিত থাকেন ৮ বলে ১৪ রানে। লোয়ার অর্ডারের এমন ধারাবাহিকতায় ২৬৫ রান তুলতে সক্ষম হয় টাইগাররা।
ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর, জোড়া উইকেট যায় মোহাম্মদ শামির ঝুলিতে।