একে একে বসে গেছে পদ্মাসেতুর ৩৫টি স্প্যান। দৃশ্যমান হয়েছে ৫২৫০ মিটার। সবকিছু অনুকূলে থাকলে আজ বৃহস্পতিবারই বসতে পারে সেতুর ৩৬তম স্প্যান। আর এর মধ্যদিয়েই দৃশ্যমান হবে সেতুর ৫৪০০ মিটার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার সেতু।
ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে নদীর নাব্য পরীক্ষাসহ স্প্যান স্থাপনের আনুষাঙ্গিক কাজ শুরু করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রকৌশলীদের কাছ থেকে জানা যায়, সবকিছু ঠিক থাকলে মাওয়া প্রান্তের ২ ও ৩ নম্বর খুঁটির ওপর ১-বি নামের ৩৬তম স্প্যানটি আজ স্থাপন করা হবে। সেই লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুর কাদের জানান, মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান ই’ নামের ভাসমান ক্রেনে ১-বি নামের ধুসর রঙের স্প্যানটি জেটিতে রাখা হয়েছে। দুপুর নাগাদ স্প্যানটি নিয়ে নির্দিষ্ট খুঁটির কাছে যাবে ক্রেনটি।
৩৬তম স্প্যানটি বসানো হলে পদ্মা সেতুর ৫৪০০ মিটার দৃশ্যমান হবে। এর আগে অক্টোবর মাসের ১১ তারিখ ৩২তম স্প্যান, ১৯ তারিখ ৩৩তম স্প্যান, ২৫ তারিখ ৩৪তম স্প্যান ও ৩১ তারিখ ৩৫তম স্প্যান বসানো হয়েছে। নভেম্বর মাসেও ৪টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান এই প্রকৌশলী।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ৩৫টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন গ্রুপ লিমিটেড। বহুমুখী এই সেতুর মূল আকৃতি হবে দ্বীতল যা কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।