বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই ১৯ দিনে মোট টিকা নিয়েছেন ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ জন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ৪৩৯ জন। গতকাল বুধবার টিকা নিয়েছিল এক লাখ ৮১ হাজার ৯৮৫ জন।
টিকাদান শুরুর ১৯ দিনের মধ্যে তিন দিন সপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ছিল, অর্থাৎ এ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন টিকা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত ‘কভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত দৈনিক তথ্য (সারাদেশ)’ শিরোনামে নিয়মিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে ঢাকা মহানগরসহ টিকা গ্রহণের বিভাগ এবং জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
মোট টিকা গ্রহীতার মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৫ জন। আর নারী রয়েছেন নয় লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৫ জন। এছাড়া বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে টিকা নেওয়াদের মধ্যে পুরুষ রয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ৪৮৯ জন। আর নারী ৬৮ হাজার ৯৫০ জন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরে টিকা নিয়েছেন ৩০ হাজার ৩৫১ জন। আর পুরো ঢাকা বিভাগে নিয়েছেন ৬৩ হাজার ২৪৪ জন। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে নিয়েছেন সাত হাজার ২৩৩ জন, চট্টগ্রামে নিয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৬৭ জন, রাজশাহীতে ১৮ হাজার ২১৬ জন, রংপুরে নিয়েছেন ১৬ হাজার ৭০১ জন, খুলনায় ২৬ হাজার ১৮৬ জন, সিলেটে সাত হাজার ৯৪১ জন এবং বরিশালে টিকা নিয়েছেন আট হাজার ৫১ জন।
শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৮ দিনে দেশে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮ জন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে নিয়েছেন সাত লাখ ৮১ হাজার ৭৫৯ জন। এরমধ্যে আবার ঢাকা মহানগরে তিন লাখ ৬৩ হাজার ৪৭ জন।
এছাড়া এই ১৮ দিনে ময়মনসিংহে টিকা নিয়েছেন মোট এক লাখ ১৯ হাজার ৩৮৪ জন, চট্টগ্রামে নিয়েছেন পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার ২২৭ জন, রাজশাহীতে দুই লাখ ৯৯ হাজার ৭৬২ জন, রংপুরে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৭৬২ জন, খুলনায় তিন লাখ ২২ হাজার ২৯১ জন, সিলেটে এক লাখ ৭৬ হাজার ৮৪৮ জন এবং বরিশালে টিকা নিয়েছেন এক লাখ ২৯ হাজার পাঁচজন।
গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়।
পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় জাতীয়ভাবে টিকাদান কার্যক্রম। দেশে এক হাজার ৪০০ টিকাদান কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন তিন লাখ ৬০ হাজার টিকাদানের সক্ষমতা রয়েছে।