দফায় দফায় ক্যাচ মিস আর রিভিউ নাটকের পরও ৩০০ রানের আগে পাকিস্তানকে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইংনিসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
মেহেদী হাসান মিরাজ একাই নেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া ১৪ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে তাসকিন আহমেদের শিকার ৩ উইকেট। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান ও নাহিদ রানা নেন একটি করে উইকেট। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন সাইম আইয়ুব। এ ছাড়া অধিনায়ক শান মাসুদ ৫৭ ও সালমান খান আগা করেন ৫৪ রান।
রাওয়ালপিন্ডিতে টানা বৃষ্টিতে ভেসে যায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা। দ্বিতীয় দিনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় টাইগার বোলাররা।
১৪ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে স্বপ্নের মতো শুরু করেন তাসকিন। প্রথম ওভারে ডানহাতি পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন পাকিস্তানের ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক।
দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুবের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক শান মাসুদ। পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে সাইম আইয়ুবের সঙ্গে তার ১০৭ রানের জুটি।
মাসুদের মতো অর্ধশতক করে সাজঘরে ফেরেন আইয়ুবও। তাকেও আউট করেন মিরাজ। ডাউন দ্য উইকেটে স্লগ করতে গিয়ে লিটন দাসের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। ব্যক্তিগত ১ রানে তাসকিনের বলে স্লিপে সৌদ শাকিলের ক্যাচ ফেলে দেন মিরাজ।
তবে সেই তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হন শাকিল। এরপর অভিজ্ঞ বাবর আজমের উইকেট তুলে নেন সাকিব। দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এতে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা।
মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দ্রুত তুলে নেন নাহিদ রানা। এরপর টেল এন্ডের ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই করেন সালমান আগা। তাসকিনের শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। লিটন দাস আবরার আহমেদকে স্ট্যাম্পিং করলে, মিরাজের ঝুলিতে যোগ হয় পঞ্চম উইকেট। এ নিয়ে ইনিংসে ৮ বার ৫ উইকেট শিকার করলেন ডানহাতি এ অলরাউন্ডার।
শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে শুরতেই বিপদে পড়তে পারত বাংলাদেশ। প্রথম বলেই সাদমান ইসলামের ক্যাচ ছেড়ে দেন সাউদ শাকিল। মির হামজার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন সাদমান। ভালো উচ্চতায় সহজে হাতে এলেও তা জমাতে পারেননি তিনি। ফলে বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে দিন শেষ করে সফরকারীরা।
এই মাঠে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ন্যূনতম ড্র করলেই সিরিজ জিতে নেবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৮৫.১ ওভারে ২৭৪ (শাফিক ০, সাইম ৫৮, মাসুদ ৫৭, বাবর ৩১, শাকিল ১৬, রিজওয়ান ২৯, সালমান ৫৪, খুররাম ১২, আলি ২, আবরার ৯, হামজা ০*; তাসকিন ১৭-২-৫৭-৩, হাসান ১৪-১-৬০-০, নাহিদ ১৫-১-৫৮-১, মিরাজ ২২.১-২-৬১-৫, সাকিব ১৭-৩-৩৪-১)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২ ওভারে ১০/০ (সাদমান ৬*, জাকির ০*; হামজা ১-০-৫-০, খুররাম ১-০-১-০)