দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনেও নৌকার জয়জয়কার। শনিবার রাত ৯ টায় এরিপোর্ট লেখাকালীন ৪১ পৌরসভার বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ৩২টি, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ চারটি, জাসদের মশাল একটি এবং চারটিতে স্বতন্ত্ররা জয়ী হয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপের দেশের ৬০টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয় শনিবার। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কয়েকটি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কিছু এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার ঘটনা ছাড়া বেশির ভাগ পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের খবর পাওয়া গেছে। আর সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে নারী ভোটাদের দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
নোয়াখালীর বসুর হাট পৌরসভায় মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আলোচিত প্রার্থী মির্জা আব্দুল কাদের। নির্বাচনী প্রচারণায় ‘সত্য বচনে’ দেশজুড়ে আলোচনায় থাকা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে তিনি ১০ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ১৭৭৮ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা জামায়াতের প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মোবাইল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪৫১ ভোট। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই মির্জা আব্দুল কাদের বলেছেন, ‘আজকের এ বিজয় অন্যায়-অবিচার জুলুমের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার বিজয়। বাঙালি জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের বিজয়, এ বিজয় জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিজয়। এ বিজয় জননেতা ওবায়দুল কাদেরের উন্নয়নের বিজয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি আমৃত্যু অন্যায়, অবিচার, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে যাব। যে সকল ওয়াদা আপনাদের সঙ্গে করেছি, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও তা পূরণ করব।’
ফেনীর দাগনভূঞা পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রাথীর হ্যাট্রিক জয়। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক খান আট হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। পর পর তিন বার নির্বাচিত হয়ে এ পৌরসভার ইতিহাসে চমক দেখিয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান পেয়েছেন ৯২৭ ভোট।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজম নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট নয় হাজার ৮৪৯। আশরাফুল আজমও তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী তৈয়বুর রহমান খান বাবু জগ প্রতীকে পেয়েছেন সাত হাজার ২৬৫ ভোট।
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আহম্মেদ আলী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী পেয়েছেন নয় হাজার ৪৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম পেয়েছেন দুই হাজার ৬৫১ ভোট। তবে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ভোটের দিন দুপুরে বিএনপির প্রার্থীসহ চার প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন। বর্জনকারী প্রার্থীরা হচ্ছেন- বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আছাদুজ্জামান বাবলু, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আবু হুরাইরা।
বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ আব্দুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। ১২টি কেন্দ্রে তিনি নৌকা প্রতীকে ১১ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী পেয়েছেন ৫৮২ ভোট।
নাটোর নলডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির নৌকা প্রতীকে তিন হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটকম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আব্বাছ আলী নান্নু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এক হাজার ৯১০ ভোট পেয়েছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাহেব আলী জগ প্রতীক নিয়ে এক হাজার ১৭৯ ভোট পেয়েছেন।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মতিউর রহমান মতি বেসরকারিভবে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছয় হাজার ৫৭৪টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর শাহী সুমন নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ২৭৬টি।
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন। ধানের শীষ প্রতীকে তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু পেয়েছেন সাত হাজার ৮১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মন্টু পেয়েছেন সাত হাজার ৩৯৭ ভোট। অর্থাৎ ৪২২ ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন ভুট্টু।
বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী জানে আলম খোকা। তিনি জগ প্রতীকে পেয়েছেন নয় হাজার ২৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সাত্তার নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৯ ভোট। এছাড়া বিএনপি প্রার্থী স্বাধীন কুমার কুণ্ডু পেয়েছেন তিন হাজার ৩৬৩ ভোট।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মো. মোশারফ হোসেন বাবুল পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোবাইল প্রতীক নিয়ে তিন হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৯৪৬ ভোট।
দিনাজপুর সদর পৌরসভা নির্বাচনে হ্যাটট্রিক বিজয় পেয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি ধানের শীশ প্রতীকে ৪৪ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ পারভেজ পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৬২ ভোট।
রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভায় বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. মুক্তার আলী। নারিকেল গাছ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৯০২ ভোট। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী শহীদুজ্জামান সাইদ পেয়েছেন চার হাজার ১১৯ ভোট। এছাড়া ধানের শীষের প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী মো. তোজাম্মেল হক ৫৪২ ভোট পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জের ছাতকে চতুর্থবারের মতো মেয়র হলেন আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবুল কালাম। তিনি ১২ হাজার ৮২৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ন্যান্সি সাত হাজার ৯০৮ ভোট পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জে সদর পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাদের বখত ২১ হাজার ৬৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মোর্শেদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৭০ ভোট।
জগন্নাথপুর পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক জগন্নাথপুর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান আট হাজার ৩৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মিজানুর রশিদ ভুইয়া নৌকা প্রতীকে সাত হাজার ৯২৮ ভোট পেয়েছেন।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছাবির আহমদ চৌধুরী। ধানের শীষ প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট পাঁচ হাজার ৭৪৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরী নৌকা প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট পাঁচ হাজার ৪৮৫।
নরসিংদীর মনোহরদী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আমিনুর রশিদ সুজন নৌকা প্রতীকে আট হাজার ৮৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি প্রার্থী মো. মাহমুদুল হক পেয়েছেন ৫৮৫ ভোট।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক ভূইয় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন নয় হাজার ১৭৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম শফিক ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ২৫৬ ভোট।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট লতিফুর রহমান রতন বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা পারভীন বিথী। তার প্রতীক ছিল নারিকেল গাছ।
কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পারভেজ মিয়া ২০ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাজী মো. ইসমাইল মিয়া পেয়েছেন ২০ হাজার ৪২০ ভোট।
কুষ্টিয়া সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান মেয়র আনোয়ার আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বশিরুল আলম চাঁদকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
কুষ্টিয়া কুমারখালী পৌরসভায় বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সামসুজ্জামান ওরুন ১০ হাজার ১৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আনিসুর রহমান লালু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩৮৬ ভোট।
কুষ্টিয়া মিরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী এনামুল হক ১০ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়ে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আরিফ পেয়েছেন দুই হাজার ৫১৫ ভোট। কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভায় আট হাজার ৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত মশাল প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুল কবীর টুটুল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শামীমুল ইসলাম ছানা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৩৪ ভোট।
কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শওকত হোসেন ভূঁইয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে শওকত হোসেন ভূঁইয়া নয় হাজার ৪৫১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন জগ প্রতীকে তিন হাজার ১৫৫ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহ মো. আলমগীর খান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৬৯৫ ভোট।
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি নয় হাজার ৩২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র রফিকুল আলম মোবাইল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন আট হাজার ৭৪৯ ভোট। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন চার হাজার ৩০৮ ভোট।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দ হাসান সারোয়ার মহসিন ১২ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী নুরুল মিল্লাত ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ২৯০ ভোট।
হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির হাবিবুর রহমান মানিক বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৩১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ সাহা নারিকেল গাছ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন চার হাজার ১৮৫টি। এছাড়া আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ মো. মুসলিম (জগ প্রতীক) পেয়েছেন তিন হাজার ৪৯ ভোট এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী শ্রীধাম দাশ গুপ্ত নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫৬৮ ভোট পেয়েছেন।
নওগাঁর নজিপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল কবির চৌধুরী সাত হাজার ৬৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১৪৯ ভোট।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৩৬ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা (জগ) পেয়েছেন চার হাজার ৪২৮ ভোট।
মুক্তাগাছা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিল্লাল হোসেন সরকার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৭ হাজার ৩২০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি দলীয় প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শহীদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ২৬১ ভোট।
মাগুরা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. খুরশিদ হায়দার টুটুল দ্বিতীয়বারের মতো বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩৯ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির ইকবাল আকতার খান কাফুর পেয়েছেন ছয় হাজার ৭৩ ভোট।
এছাড়াও চারটি পৌরসভায় একক প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জের তারাব পৌরসভায় হাছিনা গাজী, পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মো. গোলাম হাসনাইন, পিরোজপুরের সদরে মো. হাবিবুর রহমান মালেক ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে মো. আব্দুল হাননান তালুকদার।
দ্বিতীয় ধাপে পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়াও জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র প্রার্থীরা অংশ নেয়।