মিরপুর শেরে বাংলায় শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঝকঝকে রোদ দেখে শুরুতে ব্যাটিং নেন অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ। কিন্তু সাকিব-মিরাজদের ঘূর্ণিতে ১৪৮ রানে গুটিযে যায় তারা।
চলতি ওয়ানডে সিরিজে দুই ইনিংসে ব্যাট করল সফরকারী দল। দৃশ্যপটের কোনো পরিবর্তন নেই। বলা ভালো, জেসন মোহাম্মদের দল ফেরার মিছিলের দৃশ্যপট পাল্টাতে পারেনি। প্রথম উইকেট যাওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল ব্যাটিং অর্ডার। ওদিকে এ সুযোগে নিজেদের বোলিং ফিগার সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। যদিও শেষ উইকেট জুটিতে রোভম্যান পাওয়েল ও আকিল হোসেনের ৪০ বল ব্যাট করাটা চোখে বিঁধবে বোলারদের।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বাঁ-হাতি পেসার মু্স্তাফিজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনর সুনীল অ্যামব্রিস (৬)। এরপর অভিষিক্ত কেজর ওটলি এবং তিনে নামা জসুয়া ডি সিলভা খুবই সাবধানে খেলা শুরু করেন। কিন্তু মিরাজের স্পিনের সামনে বেশিক্ষণ প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে পারেননি তারা। ওটলি ৪৪ বলে ২৪ রান করে তাই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। জসুয়া বোল্ড হন ২২ বলে মাত্র ৫ রান করে।
নিজের প্রথম ওভারে এসেই অ্যান্দ্রে ম্যাককার্টিকে ৩ রানে বোল্ড করে দেন সাকিব। এরপর প্রথম ম্যাচে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা কাইল মায়ার্স শূন্য রান করে ফিরে যান রানআউট হয়ে। সফরকারীরা ৪১ রানে হারায় ৫ উইকেট। অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদে দল তখন ভরসা করছিল। কিন্তু অধিনায়ক ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে তুলে নেন নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরা সাকিব।
এরপর এনকুরুমা বোনারকে তুলে নেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। তিনি দলের পক্ষে ২০ রান করেন। অফের বাইরের বলে শট খেলতে গিয়ে প্লেড অন হন তিনি। তারপরই ফিরে যান রেমন রেইফার। রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ করে তাকে মাঠ ছাড়া করেন মিরাজ। ৮৮ রানে ৮ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা।
সেখান থেকে লোয়ার অর্ডার ব্যাট করা অলরাউন্ডার রোভম্যান পাওয়েল এবং পেসার আলজারি জোসেপ কিছু রান যোগ করেন। জোসেপ তিন চারে ১৭ রান করে মুস্তাফিজের বুদ্ধির কাছে হার মেনে সাজঘরে ফেরেন। লিটন দাসকে স্লিপের একটু সামনে তুলে এনে আলতো কাটার মারতেই জোসেপ ক্যাচ তুলে দেন। তবে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া রোভম্যান পাওয়েল করেন ৪১ রান। মিরাজের বলে স্টাম্পিং হন তিনি।