ঢাকা ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
যে কোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান ঢাকা নিজ স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু আরো ৪ জনের বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বাইডেন: হোয়াইট হাউস জানুয়ারিতে তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রিতে নেমে আসার সম্ভাবনা “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে চৌধুরী কামাল ইউসুফ একজন অনুকরণীয় নেতৃত্ব ছিলেন” ২০২৩ সালে বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেনি: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আমাদের পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে: তারেক রহমান ভারত একটি নির্বাচনি মডেল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’র করতে চাইছে: এনডিটিভি গাজা ভূখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত

দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে শত শত ট্রেনযাত্রীর প্রাণ বাঁচালো

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৫২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২৪৫ Time View
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাগুরী এলাকায় পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে শত শত ট্রেনযাত্রীর প্রাণ বাঁচালো সাজিদ হোসেন নামে এক কিশোর। একইসঙ্গে ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো কোটি টাকার মহামূল্যবান ট্রেনটি। গতকাল রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জেলার পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাগুরী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ও সহিদা বেগমের ছেলে কিশোর সাজিদ হোসেন (১৫)। পাঁচবিবি উপজেলার একটি বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সে।
সাজিদের সহপাঠী সজিব, মোজাম্মেল হকসহ এলাকাবাসী জানান, সাজিদের মা সহিদা বেগম বাড়ির পাশর্বর্তী রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় তিনি একটি রেললাইনে ফাটল দেখে সঙ্গে সঙ্গে লাঠিতে লাল গেঞ্জি লাগিয়ে ছেলে সাজিদকে তা উড়াতে বলেন। পরে সাজিদ লাল গেঞ্জি উড়িয়ে থামিয়ে দেন ঢাকাগামী আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনে থাকা শত শত যাত্রী। এই মহৎ কাজে সাজিদকে তাৎক্ষণিক অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে জনগুরুত্বপূর্ণ এই যোগাযোগ ব্যবস্থারও আধুনিককরণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
সাজিদ হোসেন বলেন, ‘মায়ের নির্দেশে যাত্রীদের প্রাণ ও ট্রেন বাঁচাতেই লাল গেঞ্জি নিয়ে রেললাইনে দাঁড়িয়েছিলাম, ট্রেন আসা দেখে লাঠিতে লাগানো ওই লাল গেঞ্জি উড়ালে যখন ট্রেন থামল, তখন ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। তারপর যখন যাত্রী, ট্রেনচালক ও এলাকার অনেক মানুষ এসে খুব সাবাস দিল তখন কি যে ভালো লাগল তা আর বোঝাতে পারব না। সব চেয়ে বড় কথা, দুর্ঘটনার হাত থেকে শত শত যাত্রীসহ ট্রেনটিকে রক্ষা করতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
রেললাইন মেরামত কর্মচারী (কি-ম্যান) রায়হান হোসেন বলেন, সাজিদের ট্রেন থামানোর পর অফিস কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসে রেললাইনের ফাটল জোড়া লাগানো হয়েছে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
জয়পুরহাট স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান জানান, লাল গেঞ্জি উড়িয়ে সাজিদ ট্রেন থামানোর কারণে একটি মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে এ যাত্রায় রক্ষা পাওয়া গেল।
Tag :
জনপ্রিয়

যে কোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান

দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে শত শত ট্রেনযাত্রীর প্রাণ বাঁচালো

Update Time : ০৪:৫২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাগুরী এলাকায় পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে শত শত ট্রেনযাত্রীর প্রাণ বাঁচালো সাজিদ হোসেন নামে এক কিশোর। একইসঙ্গে ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো কোটি টাকার মহামূল্যবান ট্রেনটি। গতকাল রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জেলার পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাগুরী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ও সহিদা বেগমের ছেলে কিশোর সাজিদ হোসেন (১৫)। পাঁচবিবি উপজেলার একটি বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সে।
সাজিদের সহপাঠী সজিব, মোজাম্মেল হকসহ এলাকাবাসী জানান, সাজিদের মা সহিদা বেগম বাড়ির পাশর্বর্তী রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় তিনি একটি রেললাইনে ফাটল দেখে সঙ্গে সঙ্গে লাঠিতে লাল গেঞ্জি লাগিয়ে ছেলে সাজিদকে তা উড়াতে বলেন। পরে সাজিদ লাল গেঞ্জি উড়িয়ে থামিয়ে দেন ঢাকাগামী আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনে থাকা শত শত যাত্রী। এই মহৎ কাজে সাজিদকে তাৎক্ষণিক অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে জনগুরুত্বপূর্ণ এই যোগাযোগ ব্যবস্থারও আধুনিককরণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
সাজিদ হোসেন বলেন, ‘মায়ের নির্দেশে যাত্রীদের প্রাণ ও ট্রেন বাঁচাতেই লাল গেঞ্জি নিয়ে রেললাইনে দাঁড়িয়েছিলাম, ট্রেন আসা দেখে লাঠিতে লাগানো ওই লাল গেঞ্জি উড়ালে যখন ট্রেন থামল, তখন ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। তারপর যখন যাত্রী, ট্রেনচালক ও এলাকার অনেক মানুষ এসে খুব সাবাস দিল তখন কি যে ভালো লাগল তা আর বোঝাতে পারব না। সব চেয়ে বড় কথা, দুর্ঘটনার হাত থেকে শত শত যাত্রীসহ ট্রেনটিকে রক্ষা করতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
রেললাইন মেরামত কর্মচারী (কি-ম্যান) রায়হান হোসেন বলেন, সাজিদের ট্রেন থামানোর পর অফিস কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসে রেললাইনের ফাটল জোড়া লাগানো হয়েছে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
জয়পুরহাট স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান জানান, লাল গেঞ্জি উড়িয়ে সাজিদ ট্রেন থামানোর কারণে একটি মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে এ যাত্রায় রক্ষা পাওয়া গেল।