মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শরৎকাল, ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
পদার্থবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় রোডমার্চ মাফ পাওয়ার সুযোগ নাই।-আমির খসরু ফরিদপুরে বিএনপির রোর্ড মার্চের পথসভা জনসমুদ্রে পরিনত ‌র‍্যাব ভিসানীতি নিয়ে ভাবছে না: ‌র‍্যাব দুই দিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস ক্রিকেট বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিতে কতটা সোনা-রুপা রয়েছে, ওজন কত, মূল্য কত? শাটডাউন এড়ালেও নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে আজ জানা যাবে পদার্থবিজ্ঞানে এ বছর কে বা কারা নোবেল পাচ্ছেন ক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে ঢাকার উদ্দেশে রাতে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে মাউশি

দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে শত শত ট্রেনযাত্রীর প্রাণ বাঁচালো

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৮০ Time View
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাগুরী এলাকায় পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে শত শত ট্রেনযাত্রীর প্রাণ বাঁচালো সাজিদ হোসেন নামে এক কিশোর। একইসঙ্গে ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো কোটি টাকার মহামূল্যবান ট্রেনটি। গতকাল রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জেলার পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাগুরী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ও সহিদা বেগমের ছেলে কিশোর সাজিদ হোসেন (১৫)। পাঁচবিবি উপজেলার একটি বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সে।
সাজিদের সহপাঠী সজিব, মোজাম্মেল হকসহ এলাকাবাসী জানান, সাজিদের মা সহিদা বেগম বাড়ির পাশর্বর্তী রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় তিনি একটি রেললাইনে ফাটল দেখে সঙ্গে সঙ্গে লাঠিতে লাল গেঞ্জি লাগিয়ে ছেলে সাজিদকে তা উড়াতে বলেন। পরে সাজিদ লাল গেঞ্জি উড়িয়ে থামিয়ে দেন ঢাকাগামী আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনে থাকা শত শত যাত্রী। এই মহৎ কাজে সাজিদকে তাৎক্ষণিক অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে জনগুরুত্বপূর্ণ এই যোগাযোগ ব্যবস্থারও আধুনিককরণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
সাজিদ হোসেন বলেন, ‘মায়ের নির্দেশে যাত্রীদের প্রাণ ও ট্রেন বাঁচাতেই লাল গেঞ্জি নিয়ে রেললাইনে দাঁড়িয়েছিলাম, ট্রেন আসা দেখে লাঠিতে লাগানো ওই লাল গেঞ্জি উড়ালে যখন ট্রেন থামল, তখন ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। তারপর যখন যাত্রী, ট্রেনচালক ও এলাকার অনেক মানুষ এসে খুব সাবাস দিল তখন কি যে ভালো লাগল তা আর বোঝাতে পারব না। সব চেয়ে বড় কথা, দুর্ঘটনার হাত থেকে শত শত যাত্রীসহ ট্রেনটিকে রক্ষা করতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
রেললাইন মেরামত কর্মচারী (কি-ম্যান) রায়হান হোসেন বলেন, সাজিদের ট্রেন থামানোর পর অফিস কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসে রেললাইনের ফাটল জোড়া লাগানো হয়েছে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
জয়পুরহাট স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান জানান, লাল গেঞ্জি উড়িয়ে সাজিদ ট্রেন থামানোর কারণে একটি মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে এ যাত্রায় রক্ষা পাওয়া গেল।
More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102