তিনি বলেন, সোমবার রাতে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের কমোডর গোলাম সাদেকসহ সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভা হয়। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ভার্চুয়ালি ওই সভায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি মঙ্গলবার কারাবন্দি দুই নৌযান শ্রমিকের জামিনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ আশ্বাসে নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে রাত ৯টায় কাজে যোগদান করেছেন।
রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল নৌবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে রাখা ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চগুলো পন্টুনে আসতে শুরু করেছে। নৌযানের মাস্টার-ড্রাইভাররা জানান, তারা যাত্রী নিয়ে ঢাকায় রওনা হবেন। তবে পন্টুনে যাত্রী ছিল খুবই কম।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে ঢাকা মেরিন আদালতে ঢাকা-বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চের মাস্টার জামাল হোসেন ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মাস্টার রূহুল আমিনের জামিন বাতিল হওয়ায় দুপুর দেড়টায় ঢাকা থেকে সারাদেশের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল জেলা সভাপতি মাস্টার মো. হাশেম জানান, গতবছর শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশায় মেঘনায় দিক হারিয়ে অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় দু’টি লঞ্চের ৪ জন মাস্টার-ড্রাইভারের সনদ স্থগিত রাখা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মেরিন আদালতে মামলাও হয়েছে। সোমবার মামলার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী মাস্টার জামাল হোসেন ও মাস্টার রূহুল আমিন ঢাকায় মেরিন আদালতে হাজির হন। পরে তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এ খবরে অন্যান্য নৌযান শ্রমিকরা দূরপাল্লা রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেন।