আজ সোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।দেশের সব মসজিদের খতিব-ইমামদের জুমার নামাজের খুতবার আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচারের এই নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, পবিত্র কোরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সংবলিত বক্তব্য অনলাইন তথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগেরমাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইসলাম মানবজাতির জন্য শান্তি, কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির পথ। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) অজ্ঞতা-অন্ধকার ও ভয়-ভীতিপূর্ণ সমাজ থেকে সমস্ত ভয়, অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা ও সংঘাত দূর করে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইসলামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে কোনো অশুভ শক্তি একেক সময় একেক নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এতে আলেম সমাজসহ ধর্মপ্রাণ মানুষের ভাবমর্যাদা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই, সীমানা নেই। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বর্তমান সরকার সদা-তৎপর। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরত মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসিরসহ আলেম-ওলামাদের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রস্তুত করে স্থানীয় পর্যায়ের সব মসজিদের খতিব-ইমামদের মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার নিশ্চিত করতে হবে। সব মসজিদের খতিব-ইমামরা জুমার নামাজের খুতবার আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচার নিশ্চিত করবেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সংবলিত বক্তব্য অনলাইন তথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সব শ্রেণির জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ/জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।