ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ভারতীয় সীমান্তে বিজিবির উচ্চ সর্তকতা জারি নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের নতুন একটি হাইকমিশন স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ বারবার ব্যাংক ঋণে সুদহার বৃদ্ধিতে চরম সংকটে পড়েছে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১৩. ৮০ শতাংশ মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতমূলক পরিবেশের কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: পুতিন শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার না করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত আজ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি রোগী বয়কট না করার সিদ্ধান্ত ভারতের চিকিৎসকদের ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে গাজা উপত্যকার ‘সেফ জোন’ লক্ষ্য করে আবারও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, ‘পুড়ে ছাই’ নারী-শিশুসহ ২০ জন

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন : সন্ত্রাসবিরোধী বক্তব্য দিতে নির্দেশনা জুমার খুতবায়

আজ সোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।দেশের সব মসজিদের খতিব-ইমামদের জুমার নামাজের খুতবার আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচারের এই নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, পবিত্র কোরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সংবলিত বক্তব্য অনলাইন তথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগেরমাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইসলাম মানবজাতির জন্য শান্তি, কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির পথ। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) অজ্ঞতা-অন্ধকার ও ভয়-ভীতিপূর্ণ সমাজ থেকে সমস্ত ভয়, অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা ও সংঘাত দূর করে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইসলামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে কোনো অশুভ শক্তি একেক সময় একেক নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এতে আলেম সমাজসহ ধর্মপ্রাণ মানুষের ভাবমর্যাদা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই, সীমানা নেই। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বর্তমান সরকার সদা-তৎপর। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরত  মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসিরসহ আলেম-ওলামাদের মাধ্যমে পবিত্র  কোরআন ও হাদিসের আলোকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রস্তুত করে স্থানীয় পর্যায়ের সব মসজিদের খতিব-ইমামদের মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার নিশ্চিত করতে হবে। সব মসজিদের খতিব-ইমামরা জুমার নামাজের খুতবার আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচার নিশ্চিত করবেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সংবলিত বক্তব্য অনলাইন তথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সব শ্রেণির জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ/জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
Tag :
জনপ্রিয়

ভারতীয় সীমান্তে বিজিবির উচ্চ সর্তকতা জারি

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন : সন্ত্রাসবিরোধী বক্তব্য দিতে নির্দেশনা জুমার খুতবায়

Update Time : ০৫:১৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০

আজ সোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।দেশের সব মসজিদের খতিব-ইমামদের জুমার নামাজের খুতবার আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচারের এই নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, পবিত্র কোরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সংবলিত বক্তব্য অনলাইন তথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগেরমাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইসলাম মানবজাতির জন্য শান্তি, কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির পথ। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) অজ্ঞতা-অন্ধকার ও ভয়-ভীতিপূর্ণ সমাজ থেকে সমস্ত ভয়, অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা ও সংঘাত দূর করে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইসলামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে কোনো অশুভ শক্তি একেক সময় একেক নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এতে আলেম সমাজসহ ধর্মপ্রাণ মানুষের ভাবমর্যাদা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই, সীমানা নেই। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বর্তমান সরকার সদা-তৎপর। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরত  মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসিরসহ আলেম-ওলামাদের মাধ্যমে পবিত্র  কোরআন ও হাদিসের আলোকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রস্তুত করে স্থানীয় পর্যায়ের সব মসজিদের খতিব-ইমামদের মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার নিশ্চিত করতে হবে। সব মসজিদের খতিব-ইমামরা জুমার নামাজের খুতবার আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচার নিশ্চিত করবেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সংবলিত বক্তব্য অনলাইন তথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সব শ্রেণির জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ/জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।