নদী থেকে অবৈধ ভাবে এবং পরিকল্পনাহীনভাবে বালু কাটার ক্ষতি সুদুর প্রসারী। এর ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত নদীর তীরে সংরক্ষণ কাজ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বালু ও ইট ট্রাকে বহনের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন না করায় বালুর কণা মানুষের চোখে গিয়ে চোখের ক্ষতি করতে পারে।
ফরিদপুর জেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা। তবে ওই সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেছেন কাউকে নদী থেকে বালু কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ কাজ যারা করছেন তারা অবৈধভাবে করছেন।তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু কাটার বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্ল্যা বলেন, ফরিদপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে পদ্মা নদীতে খনন যন্ত্র বসিয়ে বালু কাটা হচ্ছে। ‘এ কাজ করা হচ্ছে রাতের আধারে’ – মন্তব্য করে তিনি বলেন, মাটি কেটে ড্রাম্প ও ট্রামে ভরে কোনো রকম সর্তকতা না মেনে বহন করা হয়।এর ফলে মাটি সড়কের উপর পরে যায়। মাটির কারনে সড়কে মাটি গলে গিয়ে পিচ্ছিল হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: আলিমুজ্জামান বিপিএম বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনে নদী ও তীরের এবং সড়কে ভারী ট্রাক চলাচলে সড়কের সুদুর প্রসারী কী ধরনের সমস্যা হয় তা বলে শেষ করা যাবে না। পাশাপাশি মাটিবাহী ট্রাকের কারনে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।কোনো রকম সুরক্ষা ছাড়া ট্রাকে বালু ও ইট বহন করায় বালুর কনা পথচারীদের চোখে গিয়ে চোখের ক্ষতি করতে পারে। ট্রাক থেকে ইট পড়ে যানমালের ক্ষতি সাধন করতে পারে।
আলোচনার সমাপ্তি টেনে ওই সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ফরিদপুরএ বর্তমানে কাউকে নদী থেকে বালু কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ কাজ যারা করছেন তারা অবৈধভাবে করছে। তিনি বলেন এ সমস্যা সমাধানে প্রতিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে যৌথভাভাবে ভূমিকা পালক করতে হবে। তিনি বলেন, ট্রাকে বালু ও ইট বহনের সময় যাতে সর্তকতা অবলম্বন করা হয় সে ব্যাপারে নজরদারী করা হবে।