উৎসব উদযাপনের নামে নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ঐতিহ্য বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া, পটকা, আতশবাজি ফোটানো, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটর সাইকেল চালানোর বিষয়ে কড়াকড়িও থাকছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আাসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বুধবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের এক অনুষ্ঠানে নববর্ষ ঘিরে নিরাপত্তা বিষয়ে এক প্রশ্নে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে; সবকিছু আছে নজরদারিতে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেনবলেন, থার্টিফার্স্ট রাতে উন্মুক্ত স্থানে লোক সমাগম ও কোনো পার্টি করতে দেওয়া হবে না আর হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না।তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে।
“হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানের কারণে রাস্তায় যেন অতিরিক্ত যানজটের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থার্টিফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান করা যাবে না। আজ সন্ধ্যা থেকে বারগুলো বন্ধ থাকবে।”
বিকাল ৫টা থেকে হাতিরঝিলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়াতে এবার হাতিরঝিল কিংবা রাজধানীর কোনও উন্মুক্ত জায়গায় থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে অনুষ্ঠান হবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টা থেকে হাতিরঝিলে ঢোকার সব রাস্তায় বন্ধ করে দেওয়া হবে। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, হাতিরঝিল প্রবেশের পাঁচটি রাস্তাই বন্ধ থাকবে। বিকাল কিংবা সন্ধ্যার পর হাতিরঝিল এলাকায় ঘুরতে না আসার জন্য বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে, স্থানীয় বসবাসকারীদের সহায়তা কামনা করেন তিনি। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাতভর হাতিরঝিলের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি। হাতিরঝিলে প্রবেশের রাস্তাগুলো বন্ধ থাকবে ১ জানুয়ারি ভোর পর্যন্ত।
ঢাকায় আজ যানবাহন চলবে যে পথে
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে থার্টিফার্স্ট নাইটে রাজধানীতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গত মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাগুলো হলো-
১. ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যানবাহনযোগে প্রবেশের জন্য কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে গুলশান, বনানী ও বারিধারায় বসবাসরত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে ওই এলাকায় প্রবেশের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
২. রাত ৮টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে মহাখালী এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নং রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, ঢাকা গেট, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে না, তবে ওইসব এলাকা থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
৩. একইভাবে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত শুধু শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিচয় প্রদর্শন এবং সনাক্তকরণ পূর্বক ঢাবি এলাকায় যানবাহন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। এজন্য পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
৪. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে টিএসসি, রোমানা স্কয়ার, ঢাকা মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, বকশী বাজার ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং এবং শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন প্রবেশ করবে না, শুধু বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
৬. কেউ বেপরোয়া, মদ্যপ ও বিপজ্জনক অবস্থায় গাড়ি চালালে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে সড়ক ব্যবহার সংক্রান্ত যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে উল্লিখিত নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে- ডিসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০-০৪৪৩৬০, এডিসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০-০৪৪৩৬১, এসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০-০৪৪৩৭২, এসি ট্রাফিক (মহাখালী) ০১৩২০-০৪৪৩৭৫, ডিসি ট্রাফিক (রমনা) ০১৩২০-০৪২২৬০, এডিসি ট্রাফিক (রমনা) ০১৩২০-০৪২২৬১, ডিসি (গুলশান) ০১৩২০-০৪১৪২০ ও ডিসি (রমনা) ০১৩২০-০৩৯৪৪০।