ঢাকা ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শনিবার জুড়ে লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলে ১৩০টিরও বেশি রকেট ছোঁড়া হয়েছে আজকের নামাজের সময়সূচি ৩ নভেম্বর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জন মারা গেছেন আগামীকাল রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাত কলেজের অভ্যান্তরীণ একাডেমিক সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার বাফুফের এমন দূরাবস্থা কেনো, এ নিয়ে অডিট হবে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে সাগরে লঘুচাপ, ৩ দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

নারী নির্যাতন দমন বিল সংসদে উত্থাপন, মৃত্যুদণ্ড যুক্ত

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০’ উত্থাপন করা হয়েছে। বিলটি উত্থাপন করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা।
রোববার (০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে এ বিলটি উত্থাপন করা হয়।
সংসদ অধিবেশনে এ বিলটি উত্থাপনের আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করেন। ওই অধ্যাদেশের আলোকে সংসদে সংশোধনী বিলটি আনা হয়। চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাসের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মধ্যে দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ সংঘটন সামাজিক গতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ও সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের ধারাকে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। তাই এমন অপরাধ দমনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায় আইনে সর্বোচ্চ দণ্ডের বিধান যুক্ত করতে এই বিলটি আনা হয়েছে।
বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বহুল আলোচিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এই সব ঘটনায় দেশজুড়ে ধর্ষণ-নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। গত ১২ অক্টোবর মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ সংশোধিত বিলটি অনুমোদন হয়। এরপর গত ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন। এ বিলটি সংসদে পাসের মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হবে।
Tag :
জনপ্রিয়

শনিবার জুড়ে লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলে ১৩০টিরও বেশি রকেট ছোঁড়া হয়েছে

নারী নির্যাতন দমন বিল সংসদে উত্থাপন, মৃত্যুদণ্ড যুক্ত

Update Time : ০৫:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০’ উত্থাপন করা হয়েছে। বিলটি উত্থাপন করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা।
রোববার (০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে এ বিলটি উত্থাপন করা হয়।
সংসদ অধিবেশনে এ বিলটি উত্থাপনের আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করেন। ওই অধ্যাদেশের আলোকে সংসদে সংশোধনী বিলটি আনা হয়। চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাসের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মধ্যে দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ সংঘটন সামাজিক গতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ও সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের ধারাকে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। তাই এমন অপরাধ দমনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায় আইনে সর্বোচ্চ দণ্ডের বিধান যুক্ত করতে এই বিলটি আনা হয়েছে।
বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বহুল আলোচিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এই সব ঘটনায় দেশজুড়ে ধর্ষণ-নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। গত ১২ অক্টোবর মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ সংশোধিত বিলটি অনুমোদন হয়। এরপর গত ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন। এ বিলটি সংসদে পাসের মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হবে।