হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ সুখরের হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জরুরি ফোনালাপের মাধ্যমে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেন বাইডেন। এ সময় তিনি নেতানিয়াহুকে এ অঞ্চলে আর উত্তেজনা না বাড়িয়ে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
এছাড়াও জিম্মিদের উদ্ধারে নেতানিয়াহুকে দ্রুত হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হতে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েলের নিরাপত্তায় মধ্যপ্রাচ্যে আরো মার্কিন যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠানোরও আশ্বাস দেন তিনি।
সতর্কাবস্থার ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য হামলা ও প্রতিরক্ষার দিক দিয়ে ইসরায়েল উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। আমাদের ওপর যেকোনো দিক দিয়ে যেকোনো আগ্রাসনের উচ্চ মূল্য দিতে হবে।
এদিকে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলছে, বাইডেন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘ইরানের কাছ থেকে আসা সব ধরনের হুমকি’ থেকে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দেবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘অঙ্গীকার’ থেকে বিচ্যুত হবে না। ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ঠেকাতে প্রয়োজনে ইসরায়েলে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়েও আলাপ করেছেন দুই নেতা।
হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ সুখরের হত্যাকাণ্ডের জেরে ইসরায়েলে ইরান ও তার মিত্রদের পাল্টা হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শীর্ষ কমান্ডার হত্যার প্রতিশোধ নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হিজবুল্লাহ। হানিয়াকে হত্যার জেরে ইসরায়েলকে ‘কঠোর শাস্তি’ দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি ইতোমধ্যে সরাসরি ইসরায়েলে হামলার নির্দেশও দিয়েছেন।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে ইরান ও তাদের মিত্রবাহিনীর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা ‘সর্বোচ্চ সতর্ক’ অবস্থায় রয়েছেন। তাদের সামরিক বাহিনী সবদিক থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত বলে জানান তিনি।