প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ গৃহীত পদক্ষেপ ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে এদিন মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
“‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এটা ব্যাপকভাবে প্রচার করার জন্য স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সমাজের সচেতন ব্যক্তি সবাইকে এই কাজে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
“প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যেহেতু (করোনাভাইরাস) পৃথিবীতে স্প্রেড করছে, এটা আমাদের আরও একটু স্ট্রং অ্যাকশনে যেতে হবে, যাতে যথাসম্ভব সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেইনটেইন করা যায়। আর মাস্কের কথা তো বার বার আলোচনায় আসছে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার।
অতি সংক্রামক এই ভাইরাস প্রতিদিনই মানুষের মৃত্যু ডেকে আনলেও নানা অজুহাতে এখনও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সে কারণে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় টিকার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। ইপিআই দেওয়ার চেইনকে এখানে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো হবে।
আগামী মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশে সাড়ে চার কোটি মানুষের জন্য টিকা আসবে। আগামী জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির প্রথমে দেড় কোটি মানুষের জন্য তিন কোটি টিকা আসবে। পরে আরও টিকা আসবে।
এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়েও আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কুড়িগ্রাম জেলায় ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ করার জন্য আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদের আসন্ন নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দেবেন, তার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশ গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস নীতিমালাও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।