পদ্মা সেতু নির্মাণে যে টাকা ব্যয় হবে, তা টোল বা গাড়ি পারাপারে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আদায়ের মাধ্যমে ওঠাবে সরকার। সেতু বিভাগ টোলের একটি প্রাথমিক হার নির্ধারণ করেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিদেশি অর্থায়নে সেতু নির্মাণ করা হলে কত টাকা টোল ধার্য করা উচিত, সে বিষয়ে দাতাদের শর্ত বা পরামর্শ থাকে। কিন্তু দেশীয় অর্থায়নে নির্মিত সেতুর ক্ষেত্রে এ রকম কোনো নীতিমালা নেই। সাধারণত সেতু হওয়ার আগে ফেরিতে যে হারে টোল নেওয়া হয়, সেতুতেও সেই হারে টোল নির্ধারণ করে থাকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।
সেতু বিভাগ পদ্মা সেতু চালুর পর ১৫ বছরের জন্য একটি টোল হারের তালিকা করে গত বছর।তালিকা অনুসারে,
এ ছাড়া ফেরি পারাপারে প্রাইভেট কারের টোল ৫০০, মাইক্রোবাসের ৮৫০ এবং মোটরসাইকেলের ৭০ টাকা। ফেরিতে ট্রাকের টোল ১ হাজার ৮৫০ টাকা। এর সঙ্গে নির্দিষ্ট সীমার পর প্রতি টনে ১৬০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুর চেয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ বেশি। আবার এর দৈর্ঘ্যও বেশি। এ কারণে পদ্মা সেতুতে টোল বেশি হবে। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার। বঙ্গবন্ধু সেতুতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। আর পদ্মা সেতু তৈরিতে সর্বশেষ হিসাব পর্যন্ত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২২ সালেই খুলে দেওয়া হবে।