‘পাগল’ বলার পর নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ‘টোকাই মেয়র’ বলে আখ্যায়িত করলেন ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী।
সাংসদদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য দেওয়ায় ‘তাঁর বিচার সব সংসদ সদস্যরা করবেন’ বলে উল্লেখ করেছেন নিক্সন চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সড়কের ইট বিছানোর কাজ এবং ১০০টি কম্বল বিতরণ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয় গাজীরটেক মোড় এলাকায়।
সত্যবচনে’ সারা দেশে আলোচিত কাদের মির্জাকে উদ্দেশ করে সভায় সাংসদ নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আপনার মতো টোকাই মেয়র মোবাইলে ফেসবুকে কথা বলে ভাইরাল হইয়েন না। নিক্সন চৌধুরী তাঁর মামা শেখ সেলিমের শক্তিতে চলে না। তাঁর নাম নেওয়ার আগে অজু কইরা নিয়েন। পাগল ঠিক করার ওষুধ জনগণের জানা আছে।’
এর আগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার চৌধুরীকান্দা সরদরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রোববার (১৭ জানুয়ারি) এমপি নিক্সন কাদের মির্জাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘পাগলারেও আমি চিনি না, জীবনে দেহি নাই, জীবনে যাই নাই নোয়াখালী। আরে মিয়া নেতা হইতে চান? পরিচিতি চান? পাগলামি কইরা নেতা হওয়া যায় না। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে পাগলা, আমি আপনারে কিছু কইছি কিনা? সরকারের উচিত এই সব পাগল যথা শিগগিরই পাবনায় পাঠানো। না হলে গণধোলাই এমন খাবে যে চেহারা চেনা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিজের জ্বালা নিয়েই বাঁচি না, আমি যাব নোয়াখালীতে! তারপরও পাগলায় কইছে, আমি যাব। পাগলায় মনে হয় আমার চাচার কাছ থেইকা মাল খাইসে। নাইলে কোথায় নোয়াখালী! আমি জীবনেও যাই নাই। আমারে চ্যালেঞ্জ করবেন না, আমরা কিন্তু খেলতে জানি। আমরা কিন্তু ভাইস্যা আসি নাই।’
নিজের পিতৃপরিচয় টেনে বলেন, ‘আমার বাপ তিনবারের এমপি ছিল, আমার ভাই ছয়বারের এমপি, মুজিববাহিনীর কোষাধ্যক্ষ ছিল, আপনার মতন ফালতু পাগল ছিল না। আসেন প্রমাণ করবেন।’
এমপি নিক্সন এসময় আরও দাবি করে বলেন, আমার থানায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে নোয়াখালীর বসুরহাট বাজারে রূপালী চত্বরে নির্বাচনী শেষ সমাবেশে মির্জা কাদের এমপি নিক্সনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার বয়স কত? আমার রাজনৈতিক বয়সও তো হবে না। গায়ের জোরে আন্ডু, গান্ডু, পান্ডুরা আপনার সাথে আছেন। এজন্যই আপনি ভোট চুরি করে এমপি হন। আমার নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যেতে আপনার মতো রাঘব-বোয়ালের প্রয়োজন নেই। আপনিতো নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী আর ফেনীর এমপি নিজাম হাজারীর অনুসারী।’