পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। কিন্তু ইতোমধ্যে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) শুক্রবার দাবি করেছে, তারা ১৫০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। একই সঙ্গে তারা পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফকে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের ২৬৫টির মধ্যে ১৭৬টি আসনের বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা জয় পেয়েছেন ৭৪ আসনে, নওয়াজের পিএমএল-এন জিতেছে ৪৯ আসনে এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি আসন পেয়েছে ৩৯টি।
পিটিআই নিজেদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে দাবি করেছে, একটু দয়া করুন, হার মেনে নিন। পাকিস্তানের জনগণ কখনও আপনাকে মেনে নেবে না। একজন গণতন্ত্রী হিসেবে নিজের গ্রহণযোগ্য পুনরুদ্ধারের সূবর্ণ সুযোগ। দিবালোকে ডাকাতি ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করতে যাচ্ছে পাকিস্তান! পিটিআই জিতছে, রায়কে সম্মান জানান।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তা দলের প্রধান গোহার খান বলেছেন, পাকিস্তান এবং পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে আমরা পরবর্তী সরকার গঠন করব। এই ফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচন আইন অনুসারে, আজকের মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। চূড়ান্ত ফল ঘোষণা এখনও বাকি।
তিনি আরও বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব ফল ঘোষণা করুন।
গোহার ১ লাখ ১০ ২৩ ভোট পেয়ে এনএ-১০ আসন থেকে জয় পেয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। মোবাইল পরিষেবা বন্ধ থাকলেও বিপুল সংখ্যক ভোটার ভোট দিয়েছেন। সাধারণত ভোটের দিন রাতেই বিভিন্ন আসনের ফলাফল জানা যেত। কিন্তু এবার ফলাফল প্রকাশে অস্বাভাবিক বিলম্বের অভিযোগ করেছে পিটিআইসহ কয়েকটি দল।
এবারের নির্বাচনে দেশটিতে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৮০ লাখ। তাদের প্রায় অর্ধেকই ৩৫ বছরের কম বয়সী। জাতীয় পরিষদের ৩৩৬ আসনের মধ্যে ২৬৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থী। তাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র ৩১৩ জন।