ঢাকা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ আজকের নামাজের সময়সূচি ৫ ডিসেম্বর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা যড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা এখনো সজাগ আছি, ঐক্যবদ্ধ আছি: প্রধান উপদেষ্টা ‘আমাদের এখানে ভয়ঙ্কর একটা কাণ্ড ঘটে গিয়েছে, এটা থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে’ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ আমরা সবাই: ডা. শফিকুর রহমান দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলে কেউ ষড়যন্ত্রের সাহস পাবে না: খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফরিদপুরে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতা অনুষ্টিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো আগামী সপ্তাহগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে

পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা

করোনা মহামারির পর গত বছর থেকে আগের মতো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে শুরু হলেও আগামী বছর তা আবারও পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রায় দুই মাস পিছিয়ে আগামীবারের এসএসসি পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর এপ্রিল মাসে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর কারণে স্বাভাবিকভাবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও প্রায় দুই মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছরের জুন মাসে নেওয়া হতে পারে এই পরীক্ষা।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি পরীক্ষা ও এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা হয়ে থাকে। কিন্তু করোনার আবির্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এলোমেলো হয়ে যায় পুরো শিক্ষাপঞ্জি । ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। এরপর গত বছর থেকে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। গত বছর এই পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। কিন্তু আগামী বছর আবারও তা পিছিয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই পরীক্ষা হবে ধরে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছিল শিক্ষাবোর্ডগুলো। সেই লক্ষ্যে এখন স্কুলগুলোতে চলছে নির্বাচনী পরীক্ষা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ফরম পূরণেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরপরও হঠাৎ পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। তবে, কী কারণে পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্ট কেউ কিছু বলছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। এজন্য ঠিকমতো পাঠ্যসূচি শেষ করা সম্ভব হয়নি। আবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও আবেদন আছে। তাই ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আর এইচএসসি পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল আজহার পর নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হতে পারে ৩১ মার্চে। আর পবিত্র ঈদুল আজহা হতে পারে আগামী বছরের ৭ জুন।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে। সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে এ পরীক্ষা হবে। তবে, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে ২০২৩ সালের মতো সংক্ষিপ্ত বা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে।
Tag :
জনপ্রিয়

এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা

Update Time : ০১:২৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
করোনা মহামারির পর গত বছর থেকে আগের মতো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে শুরু হলেও আগামী বছর তা আবারও পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রায় দুই মাস পিছিয়ে আগামীবারের এসএসসি পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর এপ্রিল মাসে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর কারণে স্বাভাবিকভাবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও প্রায় দুই মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছরের জুন মাসে নেওয়া হতে পারে এই পরীক্ষা।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি পরীক্ষা ও এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা হয়ে থাকে। কিন্তু করোনার আবির্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এলোমেলো হয়ে যায় পুরো শিক্ষাপঞ্জি । ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। এরপর গত বছর থেকে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। গত বছর এই পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। কিন্তু আগামী বছর আবারও তা পিছিয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই পরীক্ষা হবে ধরে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছিল শিক্ষাবোর্ডগুলো। সেই লক্ষ্যে এখন স্কুলগুলোতে চলছে নির্বাচনী পরীক্ষা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ফরম পূরণেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরপরও হঠাৎ পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। তবে, কী কারণে পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্ট কেউ কিছু বলছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। এজন্য ঠিকমতো পাঠ্যসূচি শেষ করা সম্ভব হয়নি। আবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও আবেদন আছে। তাই ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আর এইচএসসি পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল আজহার পর নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হতে পারে ৩১ মার্চে। আর পবিত্র ঈদুল আজহা হতে পারে আগামী বছরের ৭ জুন।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে। সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে এ পরীক্ষা হবে। তবে, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে ২০২৩ সালের মতো সংক্ষিপ্ত বা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে।