বুধবার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) চূড়ান্তকরণ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউকে সামনে রেখে আর্থিক প্রণোদনার একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন বলে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে গণভবনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) চূড়ান্তকরণ সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।। খবর বাসসের
হাসান জাহিদ বলেন, সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় আর্থিক প্রণোদনার একটি পরিকল্পনা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘সবার সঙ্গে সমৃদ্ধির পথে’ স্লোগানে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
প্রধানমন্ত্রী অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগভিত্তিক পরিকল্পনাগুলো দেখেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার স্টাট্রেজি এবং অ্যাকশন প্ল্যান আলাদাভাবে হাইলাটস করতে পরিকল্পনা কমিশনকে নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।
করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থবিরতা নামার শুরুতেই গত মার্চে সরকার সোয়া লাখ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই অঙ্ক জাতীয় বাজেটের এক-পঞ্চমাংশের বেশি, মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
সরকারের গঠিত ওই তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বেতন দিয়েছে মালিকরা। পাশাপাশি বড় শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পসহ নানা ক্ষেত্রের জন্যও ছিল এই ধরনের তহবিল বরাদ্দের সুযোগ।
সরকারের ওই গুচ্ছ প্রণোদনার প্রশংসা করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঠিক সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে মহামারীর মধ্যেও দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
আগামী একনেক সভায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।
সভায় ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সাব জেলে বন্দি থাকার সময় জেলে বসে দেশের উন্নয়নের জন্য রোডম্যাপ তৈরির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরির পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দেন সরকারপ্রধান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।