প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে নানা অপপ্রচার চলছে। কিন্তু এসব অপপ্রচার বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধাগ্রস্তকে করতে পারবে না। শক্রর মুখে ছাই দিয়ে ঠিকই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুজিবের বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার গৃহহীনকে ঘর দেওয়া হয়েছে। আরও এক লাখ ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে এত কথা অথচ এরকম একটি কাজ নিজস্ব অর্থায়নে করলাম। সেটার প্রশংসা তো দিতেই পারলো না। উল্টো বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ করেন, ‘বিএনপির কাজ সবকিছুতে দোষ খোঁজা। তারা নিজের চেহারা আয়নায় দেখেন না। যাদের নিজের গায়ে হাজারো কালির ছিটা, তারা অন্যের দোষ খুঁজে কীভাবে?
“আমাদের নৌকা অনেক বড়, কোনো অসুবিধা নাই। … আমাদের নৌকা অনেক বড় সবাইকেই নেব। তবে বেছে নেব, কেউ নৌকায় বসে নৌকা ফুটো না করে, সেটাও দেখব।”
মহামারী মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভ্যাকসিন যারা নিচ্ছেন, তাদেরকেও কিন্তু মাস্ক পড়ে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। এটা নিজের জন্য বা অন্যের জন্য এটা দরকার, সেটা ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা করবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এটা সারাবিশ্ব থেকে সম্পূর্ণভাবে না যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত সকলকেই নিরাপদ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”
অতি সংক্রামক নতুন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য শুরু থেকেই মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দিয়ে আসছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সরকারও ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে, যদিও অনেকে নানা অজুহাতে তা মানছেন না।
ইতোমধ্যে দেশের করোনাভাইরাসের টিকা এসেছে এবং প্রাথমিকভাবে পাঁচ শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর তা প্রয়োগও করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে গণ টিকাদান শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
টিকা আসায় এখন মানুষের মধ্যে মাস্ক পরা বা হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব রক্ষার মত স্বাস্থ্যবিধি পালনে যাতে ঢিলেমি না আসে, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও সতর্ক করে আসছেন।