প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার সুফল আমরা প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেব। দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, প্রত্যেক মানুষের জীবনকে উন্নত ও অর্থবহ করবো- একটি মানুষও গৃহহীন না, প্রত্যেকের ঘরে আলো জ্বালাবো- এটাই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার।
সোমবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মাতৃভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। দেশের প্রতিটি অর্জনেই বাঙালি জাতিকে সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না, যেতে পারে না। আমরা তা হতে দেব না।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার স্পেশাল ব্রাঞ্চের লেখা রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশিত মহামূল্যবান গ্রন্থগুলো সবারই পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে নয়, বিরুদ্ধে লেখা সব রিপোর্ট। পৃথিবীর কোন দেশের কোন নেতার বিরুদ্ধে ৪৬টি ফাইলে প্রায় ৪৬ হাজার পৃষ্ঠাব্যাপী কোন রিপোর্ট লেখার ইতিহাস কোথাও নেই।
আর এই রিপোর্টেই মাতৃভাষার জন্য বঙ্গবন্ধু কী কী করেছিলেন, কীভাবে ভাষা-সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলেছিলেন, আর এই সংগ্রাম করতে গিয়ে বারবার গ্রেফতার হন- এসব রিপোর্ট থেকেই সত্য ইতিহাসের মহামূল্যবান তথ্য সবাই জানতে পারবেন। ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানতে হলে এসব রিপোর্ট পড়লেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর যারা ভাষা নিয়ে গবেষণা করছেন তাদেরও এই রিপোর্টগুলো অনেক সহায়ক হবে।