ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফরিদপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির শুভেচ্ছা বিনিময় ও উপহার সামগ্রী বিতরণ সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭-এর সুপারিশ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে এ সরকারের বিরুদ্ধেও জনগণ অবস্থান নেবে: উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু সবাই মিলে অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ দুর্গাপূজা উপভোগ করছে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গাজা উপত্যকায় শিশুদের অবস্থা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার জাপানের মতোই ফরিদপুরে অ্যালকোহল পানে দুই কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু ফরিদপুরে শেখ হাসিনাসহ আ.লীগের ৫০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার ভারতের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন নোয়েল টাটা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,”ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতি সমাজে আত্মমর্যাদা বাড়াবে”

বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে আইসিটি খাতের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সারের ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ফ্রিল্যান্সারদের কোনও স্বীকৃতি না থাকায় এতদিন নানামুখী সমস্যায় পড়তে হতো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সার এটাও একটা কাজ। এটাও এক ধরনের চাকরি। কিন্তু এটা হচ্ছে নিজেই নিজের বস এবং নিজে শুধু বস না আরও অন্যকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া, অন্যের বস হওয়া। অর্থাৎ অন্যকে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া, সেই সুযোগটাও হবে।
এই কাজে সহযোগিতার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে শুরু থেকে বলেছি এটা করতে হবে। কীভাবে করতে হবে তুমি বলো এবং সেভাবে পরামর্শ দাও। তার কাছ থেকেই পরামর্শ নিয়েছি। বলতে গেলে আসলে আমি কম্পিউটার শিখেছি সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক পরিচিতির পাশাপাশি ব্যাংক লোন পেতে সহায়তা করবে এবং ক্ষমতায়নে সহযোগিতা করতে পারবে। চাকরি খোঁজার ঝামেলা আর করতে হবে না। নিজেরাই কিছু কাজ করার সাহস পাবে। এমনকি ঘরে বসে যারা ঘরের গিন্নিরাও  কিছু কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। লেখাপড়া শিখে শুধু ঘরে বসে গিন্নিগিরি করা না, সেই সাথে ফ্রিল্যান্সিং করেও অনেকে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পাবে। এতে মায়েদের ছেলেমেয়েগুলো যেমন মাকে কাছে পাবে, আবার সঙ্গে সঙ্গে মাও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের এই উদ্যোগে সমাজে একটা স্বীকৃতি আসবে, সম্মান আসবে, অর্থ উপার্জন করতে পারবে। এমনকি আমাদের অর্থনীতিতেও বিরাট অবদান রাখবে। ছেলেমেয়েরা বিদেশে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে, ওটা তো রেমিট্যান্স আকারেই বাংলাদেশে আসবে। এটাও আমাদের এখন হিসাব নিতে হবে যে কারা কত অর্থ উপার্জন করলো। নিজেরাই নিবে কিন্তু হিসাবটা আমরা পাবো। এই খাতে কত অর্থ উপার্জন হলো। এটাও একটা রেমিট্যান্স হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়েছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তারা (তরুণরা) আমাদের সমাজে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তরুণরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখে নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে, নিজের বস নিজে হবে এবং নিজেরা কাজ করবে আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে চলবে তারা।
Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির শুভেচ্ছা বিনিময় ও উপহার সামগ্রী বিতরণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,”ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতি সমাজে আত্মমর্যাদা বাড়াবে”

Update Time : ০৬:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০
বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে আইসিটি খাতের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সারের ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ফ্রিল্যান্সারদের কোনও স্বীকৃতি না থাকায় এতদিন নানামুখী সমস্যায় পড়তে হতো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সার এটাও একটা কাজ। এটাও এক ধরনের চাকরি। কিন্তু এটা হচ্ছে নিজেই নিজের বস এবং নিজে শুধু বস না আরও অন্যকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া, অন্যের বস হওয়া। অর্থাৎ অন্যকে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া, সেই সুযোগটাও হবে।
এই কাজে সহযোগিতার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে শুরু থেকে বলেছি এটা করতে হবে। কীভাবে করতে হবে তুমি বলো এবং সেভাবে পরামর্শ দাও। তার কাছ থেকেই পরামর্শ নিয়েছি। বলতে গেলে আসলে আমি কম্পিউটার শিখেছি সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক পরিচিতির পাশাপাশি ব্যাংক লোন পেতে সহায়তা করবে এবং ক্ষমতায়নে সহযোগিতা করতে পারবে। চাকরি খোঁজার ঝামেলা আর করতে হবে না। নিজেরাই কিছু কাজ করার সাহস পাবে। এমনকি ঘরে বসে যারা ঘরের গিন্নিরাও  কিছু কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। লেখাপড়া শিখে শুধু ঘরে বসে গিন্নিগিরি করা না, সেই সাথে ফ্রিল্যান্সিং করেও অনেকে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পাবে। এতে মায়েদের ছেলেমেয়েগুলো যেমন মাকে কাছে পাবে, আবার সঙ্গে সঙ্গে মাও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের এই উদ্যোগে সমাজে একটা স্বীকৃতি আসবে, সম্মান আসবে, অর্থ উপার্জন করতে পারবে। এমনকি আমাদের অর্থনীতিতেও বিরাট অবদান রাখবে। ছেলেমেয়েরা বিদেশে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে, ওটা তো রেমিট্যান্স আকারেই বাংলাদেশে আসবে। এটাও আমাদের এখন হিসাব নিতে হবে যে কারা কত অর্থ উপার্জন করলো। নিজেরাই নিবে কিন্তু হিসাবটা আমরা পাবো। এই খাতে কত অর্থ উপার্জন হলো। এটাও একটা রেমিট্যান্স হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়েছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তারা (তরুণরা) আমাদের সমাজে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তরুণরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখে নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে, নিজের বস নিজে হবে এবং নিজেরা কাজ করবে আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে চলবে তারা।