ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
বাংলাদেশি রোগী বয়কট না করার সিদ্ধান্ত ভারতের চিকিৎসকদের ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে গাজা উপত্যকার ‘সেফ জোন’ লক্ষ্য করে আবারও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, ‘পুড়ে ছাই’ নারী-শিশুসহ ২০ জন পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগে তিনজনকে আটক এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ আজকের নামাজের সময়সূচি ৫ ডিসেম্বর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা যড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা এখনো সজাগ আছি, ঐক্যবদ্ধ আছি: প্রধান উপদেষ্টা ‘আমাদের এখানে ভয়ঙ্কর একটা কাণ্ড ঘটে গিয়েছে, এটা থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে’ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ আমরা সবাই: ডা. শফিকুর রহমান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যাদের নামে সরকারি বাসা বরাদ্দ হবে, তাদেরকে ওই বাসায় থাকতেই হবে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৩০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২০৪ Time View
সরকারি শিক্ষক/ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য যে সব বাসা বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ থাকে সেটা ব্যবহার করতে হবে। বরাদ্দকৃত বাসায় না থাকলে বাড়ি ভাড়া বাবদ যে সরকারি বরাদ্দ আছে তা পাবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যাদের নামে সরকারি বাসা বরাদ্দ হবে, তাদেরকে ওই বাসায় থাকতেই হবে। যদি না থাকেন, তাহলে তারা বাসাভাড়া বাবদ যে ভাতা পাওয়ার, সেটা পাবেন না।”

বৈঠকে ‘রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদনকালে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

“এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন,” বলেন সচিব।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় যুক্ত হন। অন্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা এনইসিতে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, সরকারি কোয়ার্টার বা বাসা যেগুলো সরকারি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বানানো হয়েছে কিন্তু সেগুলোতে তারা থাকেন না। কারণ হিসেবে আইডেন্টিফাই হয়েছে সরকারি বেতন বৃদ্ধির ফলে এখন যে হাউজ রেন্ট (বাড়ি ভাড়া) পাওয়া যায়, সেটার চেয়ে কম পয়সায় বাইরে বাসা ভাড়া পাওয়া যায়। এই জন্য বাসাগুলো তৈরি থাকে কিন্তু অব্যবহৃত থাকে এবং নষ্ট হয়। ফলে একটা নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন যে যাদের নামে বাসা বরাদ্দ হবে বিশেষ করে নির্ধারিত বাসা সেগুলোতে তাদেরকে থাকতেই হবে। যদি তারা (সরকারি শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারী) না থাকেন তবে বাড়ি ভাড়া বাবদ যে ভাতা পান, তা পাবেন না। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি নির্দেশনার কথা জানিয়ে আসাদুল বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো রেইট শিডিওল বা ক্রয় প্রাক্কলন না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

“এলজিইডি, ওয়াপদা ও সড়ক বিভাগ তাদের রেইট শিডিউল পরিবর্তন করেন। অনেকবারই এরকম পরিবর্তন করার কারণে প্রকল্পের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এমন প্রসঙ্গ তুলে তিনি এই নির্দেশনা দেন।”

কোনো প্রকল্পের প্রস্তাব এলে শিডিওল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত কি না, তা খতিয়ে দেখতে পরিকল্পনা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি করে মাস্টারপ্ল্যান করার নির্দেশও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন বলে জানান সচিব আসাদুল।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ক্যাম্পাসের যেখানে সেখানে যেন অপরিকল্পিতভাবে ভবন তৈরি না করে বা খেলার মাঠ নষ্ট করে। এজন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটা উপজেলায়ও একটি করে মাস্টারপ্ল্যান করতে বলেন।

“কারণ যেহেতু আমরা প্রত্যেকটা উপজেলায় মিনি স্টেডিয়ামসহ অনেক স্থাপনা তৈরি করছি। তাই ওই মাস্টারপ্ল্যানে কোথায় কী হবে, তা যেন সন্নিবেশিত থাকে।”

সব এলাকায় যেন প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হয়, বিশেষ করে শিল্প এলাকায় যেন দ্রুত প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

 

Tag :
জনপ্রিয়

বাংলাদেশি রোগী বয়কট না করার সিদ্ধান্ত ভারতের চিকিৎসকদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যাদের নামে সরকারি বাসা বরাদ্দ হবে, তাদেরকে ওই বাসায় থাকতেই হবে

Update Time : ০৫:৩০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০
সরকারি শিক্ষক/ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য যে সব বাসা বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ থাকে সেটা ব্যবহার করতে হবে। বরাদ্দকৃত বাসায় না থাকলে বাড়ি ভাড়া বাবদ যে সরকারি বরাদ্দ আছে তা পাবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যাদের নামে সরকারি বাসা বরাদ্দ হবে, তাদেরকে ওই বাসায় থাকতেই হবে। যদি না থাকেন, তাহলে তারা বাসাভাড়া বাবদ যে ভাতা পাওয়ার, সেটা পাবেন না।”

বৈঠকে ‘রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদনকালে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

“এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন,” বলেন সচিব।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় যুক্ত হন। অন্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা এনইসিতে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, সরকারি কোয়ার্টার বা বাসা যেগুলো সরকারি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বানানো হয়েছে কিন্তু সেগুলোতে তারা থাকেন না। কারণ হিসেবে আইডেন্টিফাই হয়েছে সরকারি বেতন বৃদ্ধির ফলে এখন যে হাউজ রেন্ট (বাড়ি ভাড়া) পাওয়া যায়, সেটার চেয়ে কম পয়সায় বাইরে বাসা ভাড়া পাওয়া যায়। এই জন্য বাসাগুলো তৈরি থাকে কিন্তু অব্যবহৃত থাকে এবং নষ্ট হয়। ফলে একটা নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন যে যাদের নামে বাসা বরাদ্দ হবে বিশেষ করে নির্ধারিত বাসা সেগুলোতে তাদেরকে থাকতেই হবে। যদি তারা (সরকারি শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারী) না থাকেন তবে বাড়ি ভাড়া বাবদ যে ভাতা পান, তা পাবেন না। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি নির্দেশনার কথা জানিয়ে আসাদুল বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো রেইট শিডিওল বা ক্রয় প্রাক্কলন না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

“এলজিইডি, ওয়াপদা ও সড়ক বিভাগ তাদের রেইট শিডিউল পরিবর্তন করেন। অনেকবারই এরকম পরিবর্তন করার কারণে প্রকল্পের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এমন প্রসঙ্গ তুলে তিনি এই নির্দেশনা দেন।”

কোনো প্রকল্পের প্রস্তাব এলে শিডিওল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত কি না, তা খতিয়ে দেখতে পরিকল্পনা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি করে মাস্টারপ্ল্যান করার নির্দেশও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন বলে জানান সচিব আসাদুল।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ক্যাম্পাসের যেখানে সেখানে যেন অপরিকল্পিতভাবে ভবন তৈরি না করে বা খেলার মাঠ নষ্ট করে। এজন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটা উপজেলায়ও একটি করে মাস্টারপ্ল্যান করতে বলেন।

“কারণ যেহেতু আমরা প্রত্যেকটা উপজেলায় মিনি স্টেডিয়ামসহ অনেক স্থাপনা তৈরি করছি। তাই ওই মাস্টারপ্ল্যানে কোথায় কী হবে, তা যেন সন্নিবেশিত থাকে।”

সব এলাকায় যেন প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হয়, বিশেষ করে শিল্প এলাকায় যেন দ্রুত প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।