প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা যারা দেয়, তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। প্রয়োজনে বাংলাদেশও কাউন্টার স্যাংশন দেবে।
শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আনুষ্ঠানিক ভাষণের পর তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি করে বলেন, দেশের বাইরে থেকে ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র হলে কাউন্টার স্যাংশন দেবে বাংলাদেশও।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্যাংশন দেয়ার ক্ষেত্রে একতরফা দেখলে তো হবে না। শুরুটা কারা করলো, সেটা আগে দেখতে হবে। সেটা দেখে স্যাংশন দেয়া হোক! কিন্তু শুধু যদি আওয়ামী লীগকে টার্গেট করা হয়, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি কিন্তু কারও শক্তিতে বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি। আমি ক্ষমতায় এসেছি জনগণের শক্তিতে। কাজেই কে স্যাংশন দিল, কে দিল না- তাতে কিছু এসে যায় না। আমার ছেলে তো এখানেই (যুক্তরাষ্ট্র) আছে। সে বিয়ে করেছে, এখানে সম্পত্তি আছে। বাতিল করলে করুক! এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের তো বাংলাদেশ আছেই।
গণতন্ত্র-মানবাধিকারের কথা বলে যারা স্যাংশন নিয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনার সাফ জবাব, দেশের বাইরে থেকে ভোট বানচালের চেষ্টা হলে বসে থাকবে না বাংলাদেশও।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ অনেক বাধা অতিক্রম করেই সরকারে আছি। জনগণ ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে, তারা সেটাতে স্যাংশন দেবে। আমারও কথা থাকবে, এই বানচালের চেষ্টাটা যেন দেশের বাইরে থেকেও না হয়। দেশের বাইরে থেকে এমনটা হলে দেশের মানুষও স্যাংশন দিয়ে দেবে।’
নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসীন হলে সংবিধান মাফিক সাজার মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কেউ যদি ক্ষমতায় আসতে চায়, তবে তাদেরকে কিন্তু সাজা পেতে হবে। বাংলাদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের আর কোনো সুযোগ নেই।
‘যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন ঘোষণায় অন্তত মানুষের জীবনগুলো বাঁচবে। কারণ অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো কাজ আর জামায়াত-বিএনপি করতে পারবে না’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।