ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

‘ফরম পূরণের কিছু টাকা ব্যয় হয়েছে, বাকিটা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া হবে’ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৪২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১
  • ২১৯ Time View

এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণের সময় যে অর্থ জমা দিয়েছিলেন, পরীক্ষা না হওয়ায় তার কিছু অংশ ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শনিবার এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ বাবদ আদায় করা অর্থের অব্যয়িত অংশ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় পরীক্ষা নেওয়া আর সম্ভব হয়নি। সে কারণে জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের জন্য আইনও সংশোধন করতে হয়েছে।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরীক্ষা নেওয়ার পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত বছরের ২৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসএসসি ও জেএসসির রেজাল্ট নিয়ে এইচএসসির ফল প্রকাশ করার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এসএসসির ফলের ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসির ২৫ শতাংশ গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

এ জটিলতা নিরসনে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশ করতে ২৪ জানুয়ারি আইন পাস করে জাতীয় সংসদ। করোনাকালে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে উত্থাপিত আইনগুলো পাস করা হয়।

সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি রাতে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে পাস হওয়া তিনটি সংশোধিত আইনের গেজেট জারি করা হয়। এর আগে সেদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিনটি বিলে সম্মতি দেন। বিল তিনটিতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর সেগুলো আইনে পরিণত হয়।

সব শঙ্কা ও জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে মহামারি আতঙ্কে পার করা বছরের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হলো আজ।

এবার করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে ফল প্রকাশিত হলো। পরীক্ষা কেন্দ্রে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ফল পাঠানো হয়নি। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জমায়েত না হওয়ার নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Tag :
জনপ্রিয়

“প্রবৃদ্ধিতে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ, এটা একেবারে ভুয়া”

‘ফরম পূরণের কিছু টাকা ব্যয় হয়েছে, বাকিটা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া হবে’ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি

Update Time : ০৯:৪২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণের সময় যে অর্থ জমা দিয়েছিলেন, পরীক্ষা না হওয়ায় তার কিছু অংশ ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শনিবার এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ বাবদ আদায় করা অর্থের অব্যয়িত অংশ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় পরীক্ষা নেওয়া আর সম্ভব হয়নি। সে কারণে জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের জন্য আইনও সংশোধন করতে হয়েছে।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরীক্ষা নেওয়ার পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত বছরের ২৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসএসসি ও জেএসসির রেজাল্ট নিয়ে এইচএসসির ফল প্রকাশ করার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এসএসসির ফলের ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসির ২৫ শতাংশ গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

এ জটিলতা নিরসনে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশ করতে ২৪ জানুয়ারি আইন পাস করে জাতীয় সংসদ। করোনাকালে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে উত্থাপিত আইনগুলো পাস করা হয়।

সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি রাতে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে পাস হওয়া তিনটি সংশোধিত আইনের গেজেট জারি করা হয়। এর আগে সেদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিনটি বিলে সম্মতি দেন। বিল তিনটিতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর সেগুলো আইনে পরিণত হয়।

সব শঙ্কা ও জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে মহামারি আতঙ্কে পার করা বছরের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হলো আজ।

এবার করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে ফল প্রকাশিত হলো। পরীক্ষা কেন্দ্রে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ফল পাঠানো হয়নি। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জমায়েত না হওয়ার নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।