ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শেখ হাসিনাকে সদলবলে দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে নিউইয়র্কে হচ্ছে না ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক সালমান-আনিসুল হকের আবার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত আজকের নামাজের সময়সূচি ১৯ সেপ্টেম্বর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা চাকরিতে বয়স বাড়ানোর দাবির চিঠিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাবেক তিন সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মামলা ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে ইলন মাস্ক শিগগিরই বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার বা লাখ কোটিপতি হতে পারেন ভায়াডাক্ট দেবে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

ফরিদপুরের ঠেনঠেনিয়া বাজারের পাইকারি দোকানে অগ্নিকান্ড ।। প্রায় দেড়কোটি ক্ষতি

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর : ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া (হকেরহাট) বাজারের ব্যবসায়ী মো: ইসমাইল মোল্যার পাইকারি দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দোকানের সমস্ত মালামাল ও নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।  প্রাথমিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি  দেড় কোটির বেশি  হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী মো: ইসমাইল মোল্যা। বুধবার (২৮ আগষ্ট) ভোর রাতে ৩টার দিকে অগ্নিকান্ডের এই ঘটনা ঘটে ।

ক্ষতিগ্রস্ত বাজারের বড় ব্যবসায়ী ইমাইল মোল্যা কৈজুরি ইউনিয়নের ইছাইল গ্রামের মৃত সত্তার মোল্যার পুত্র। দোকানটি ইসমাইলের বাবা মৃত সত্তার মোল্যা ব্যবসা শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শী আমির হামজা জানান, আমি দোকানে ঘুমাচ্ছিলাম, লোকজনের ডাক-চিৎকারে ঘুম থেকে উঠে বের হয়ে আগুন দেখতে পেয়ে দোকানের মালিককে খবর দেই। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দোকান তালা মারা থাকায় কোন মালামাল উদ্ধার করতে পারে না।  ইসমাইল মোল্যার ছেলে মো মহিবুল্লাহ বলেন, প্রতিদিনের মত কেনা-বেচা শেষ করে সব কিছু পরিক্ষা করে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। গভীর রাতে খবর পাই দোকানে আগুন লেগেছে, এরপর গিয়ে দেখি সব শেষ। আমার দোকানে অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা ছিলো, আমরা দীর্ঘদিন যাবত ব্যবস্থা করি। দোকানের পশ্চিম পার্শে প্রথম থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আমার বাবা বাড়িতে না থাকার কারনে কোন দুষ্কৃতকারী আগুন লাগিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা এর সুষ্টু তদন্ত চাই।

ইসমাইল মোল্যার বড় ছেলে মোঃ মহসিন বলেন, আমাদের দোকানে ঔষধ, মুদি মাল, হার্ডওয়্যার মালামাল, কসমেটিকস, বালাইনাশক, সার, সাইকেল, মটরপার্স সহ বিভিন্ন প্রকার পাইকারি ও খুচরা বিক্রির মালামাল ছিলো, নগদ টাকা, হিসেবের খাতা অগ্নি কান্ডে পুড়ে আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমরা পথে বসে গেছি। এটা আমাদের বাপ-দাদার ব্যবসা, দীর্ঘ দিন যাবত আমরা ব্যবসা করছি। এখন আমরা কি করবো?

সালথা ফায়ার স্টেশন অফিস সুত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের ২টি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ২০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা পৌছানোর আগেই অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে যতদুর সম্ভব আগুনের ভয়াহতা রোদ করা সম্ভব হয়েছে। কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা হিসেব করে বলতে হবে। ফরিদপুর সদর থানার ওসি তদন্ত আমজাদ হোসেন বলেন, বিষটি আমাদের জানা নেই, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে সদলবলে দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে

ফরিদপুরের ঠেনঠেনিয়া বাজারের পাইকারি দোকানে অগ্নিকান্ড ।। প্রায় দেড়কোটি ক্ষতি

Update Time : ০৬:০১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর : ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া (হকেরহাট) বাজারের ব্যবসায়ী মো: ইসমাইল মোল্যার পাইকারি দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দোকানের সমস্ত মালামাল ও নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।  প্রাথমিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি  দেড় কোটির বেশি  হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী মো: ইসমাইল মোল্যা। বুধবার (২৮ আগষ্ট) ভোর রাতে ৩টার দিকে অগ্নিকান্ডের এই ঘটনা ঘটে ।

ক্ষতিগ্রস্ত বাজারের বড় ব্যবসায়ী ইমাইল মোল্যা কৈজুরি ইউনিয়নের ইছাইল গ্রামের মৃত সত্তার মোল্যার পুত্র। দোকানটি ইসমাইলের বাবা মৃত সত্তার মোল্যা ব্যবসা শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শী আমির হামজা জানান, আমি দোকানে ঘুমাচ্ছিলাম, লোকজনের ডাক-চিৎকারে ঘুম থেকে উঠে বের হয়ে আগুন দেখতে পেয়ে দোকানের মালিককে খবর দেই। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দোকান তালা মারা থাকায় কোন মালামাল উদ্ধার করতে পারে না।  ইসমাইল মোল্যার ছেলে মো মহিবুল্লাহ বলেন, প্রতিদিনের মত কেনা-বেচা শেষ করে সব কিছু পরিক্ষা করে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। গভীর রাতে খবর পাই দোকানে আগুন লেগেছে, এরপর গিয়ে দেখি সব শেষ। আমার দোকানে অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা ছিলো, আমরা দীর্ঘদিন যাবত ব্যবস্থা করি। দোকানের পশ্চিম পার্শে প্রথম থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আমার বাবা বাড়িতে না থাকার কারনে কোন দুষ্কৃতকারী আগুন লাগিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা এর সুষ্টু তদন্ত চাই।

ইসমাইল মোল্যার বড় ছেলে মোঃ মহসিন বলেন, আমাদের দোকানে ঔষধ, মুদি মাল, হার্ডওয়্যার মালামাল, কসমেটিকস, বালাইনাশক, সার, সাইকেল, মটরপার্স সহ বিভিন্ন প্রকার পাইকারি ও খুচরা বিক্রির মালামাল ছিলো, নগদ টাকা, হিসেবের খাতা অগ্নি কান্ডে পুড়ে আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমরা পথে বসে গেছি। এটা আমাদের বাপ-দাদার ব্যবসা, দীর্ঘ দিন যাবত আমরা ব্যবসা করছি। এখন আমরা কি করবো?

সালথা ফায়ার স্টেশন অফিস সুত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের ২টি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ২০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা পৌছানোর আগেই অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে যতদুর সম্ভব আগুনের ভয়াহতা রোদ করা সম্ভব হয়েছে। কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা হিসেব করে বলতে হবে। ফরিদপুর সদর থানার ওসি তদন্ত আমজাদ হোসেন বলেন, বিষটি আমাদের জানা নেই, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।