মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর :।ফরিদপুরের নগরকান্দায় নির্মিত হচ্ছে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাদ যোহর মসজিদ নির্মানে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা এবং আর্থিক সহায়তা কামনা করা হয়।
৭ তলাবিশিষ্ট মসজিদটিতে একসাথে প্রায় ২১ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।যার পুরোটাই জোগাড় হবে দান-সদকার টাকায়। ইতোমধ্যে মসজিদটির জমি ক্রয় করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও পাইলিংয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে।
নগরকান্দা পৌর সদরের বাজারের পাশেই অবস্থিত মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা।যেখানে নুরানি থেকে দাওরায়ে হাদিস তথা মাস্টার্স শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ দান করা হয়। রয়েছে এতিমখানাও। সবমিলিয়ে প্রায় দুই হাজার ছাত্রছাত্রী এখানে পড়াশোনা করে। যার বেশিরভাগই আবাসিক ছাত্র। জেলার অন্যতম বৃহৎ হেফজখানাও এটি। ১৯৯১ সালে মাত্র ২০ শতাংশ জমির উপরে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি এখন কালে কালে বেড়ে দাড়িয়েছে ৬ একরেরও বেশি। এর মধ্যে ১ একর ১০ শতাংশ জমির উপরে নির্মিত হচ্ছে এই বাবরি মসজিদ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পরে সেখানে একটি জামে মসজিদও নির্মাণ করা হয়।তবে এই মসজিদে এখন নামাজের ওয়াক্তে মুসুল্লিদের সংকুলান হচ্ছেনা। এর ফলে হেফজখানার ছাত্রদের তাদের শ্রেণিকক্ষেই আলাদা জামাতে নামাজ আদায় করতে হয়।
মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব পীর সাহেব মুফতি ইসমাতুল্লাহ কাসেমী বলেন, আমাদের পরিবারের হাত ধরে তিল তিল করে গড়ে ওঠা মাদ্রাসাটি আজ দেশ বাসীর কাছে একটি সুনামের প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে। আমাদের মাদ্রাসা থেকে হাফেজিতে এবছর মেধার তালিকায় দেশের প্রথম হয়েছেন। আমাদের মাদ্রাসাটি কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের আন্ডারে চলে। এখন আমাদের নিজস্ব পরিক্ষা কেন্দ্র হয়েছে। যদিও মাদ্রাসার ব্যায় বহনে আমাদের হিমশিম খেতে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের মাদ্রসায় একশোর বেশি এতিম শিক্ষার্থী আছে।এছাড়াও প্রায় ৮ শত নারী শিক্ষার্থী ও ১ হাজারের বেশি পুরুষ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। আমাদের প্রায় ৮ শথএর বেশি আবাসিক ব্যবস্থা আছে যা এখন সংকুলান করতে সংকটে পড়তে হচ্ছে। আমাদের দুটি তিন তলা ভবনে এখন ধারন করতে সমস্যা হওয়ায় কিছু ছাত্র মসজিদে গিয়ে থাকতে হয়। আমাদের প্রতিষ্ঠানটি আল্লাহর রহমতে ও মানুষের দান-সদগাতে চলে থাকে। আমরা আপনাদের মাঝে আরো সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে বৃত্তবানদের প্রতি অনুররোধ জানাচ্ছি।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম আল্লামা কারামত আলী বলেন, আমাদের নিজস্ব একটি মসজিদ ভবন আছে সেখানে জায়গায় সংকুলান হয় না। গত বছর আমরা সিদ্ধান্ত নেই নতুন একটি মসজিদ তৈরি করার। সেখান থেকেই একটি পরিকল্পনা মাথায় আসে মসজিদটি আল্লাহরিইবাদতে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে রুদ দেবার।
তিনি বলেন নকশা করা হয় ৭ তলা বিশিষ্ট মসজিদের। নাম দেওয়া হয় নগরকান্দা বাবরি মসজিদ।যেহেতু বাবরি মসজিদের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। ডিজাইন তৈরি করার পর মসজিদ নির্মানে প্রাথমিক ব্যায় নিরুপন করা হয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা। যা আমাদের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সদগায়ে জারিয়া হিসেবে আমাদের মসজিদ নির্মানে দেশে ও বিদেশের বৃত্তবানদের প্রতি আহবান জানানো হলো আপনারা আপনাদের সাধ্যমত এই নগরকান্দা বাবরি মসজিদটি নির্মানে সহযোগীতা করার।তিনি বলেন, আমাদের দুটি বিকাশ নাম্বার-০১৭৮৪-২৪৮০৮২ এবং ০১৭১৬-৯২১১০৪ টাকা পাঠিয়ে সহায়তা করা আহবান জানানো হলো । এছাড়াও ইসলামি ব্যাংক, নগরকান্দা শাখা ফরিদপুর এরা এ্যাকাউন্ট নাম্বার ২০৫০৭৭৭০২৯০৮৪৪৭০৩ এ নাম্বারে টাকা পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।