ফরিদপুর শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নগরকান্দা পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী নিমাই সরকার নৌকা প্রতিক নিয়ে জয়লাভ করেছেন। ভোট প্রদানের হার ৮১ ভাগ।
রবিবার সকাল ৮টায় নযটি কেন্দ্রের ৩১টি বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিরতীহীনভাবে বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহন শেষ হয়। ব্যালট পেপারে সিল মেরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পৌর যুবলীগের সভাপতি নিমাই সরকার ২ হাজার ১৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মাসুদুর রহমান (জগ) পেয়েছেন ১ হাজার ২২৮ ভোট। অপর নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান (মোবাইল ফোন) পেয়েছেন ১ হাজার ২১গ ভোট।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অপর চার প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন (নাড়কেল গাছ) পেয়েছেন ৯০৫ ভোট, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আলিমুজ্জামান (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৭১৮, আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থীপৌর আওয়ামী লীগের কার্যকরি সদস্য মো. আরিফ আহমেদ (ইস্ত্রিই) ৪৬৯ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা (চামচ) পেয়েছে ১৭৮ ভোট।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার নয়টি কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের দীর্ঘ সারি করে দাঁড়িয়ে স্বস্ফূর্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে বোট দিতে দেখা যায়। প্রতিটি কেন্দ্রে নৌকা, ধানের শীষ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের এজেন্টদের দেখা গেছে। কোন কেন্দ্র থেকে কোন এজেন্ট ভোটে কোন রকম অনিয়ম ঘটেছে বলে জানায়নি।
প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠা ও সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। কোন কেন্দ্রের ভিতরে বোটার নয় এমন কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কোন কোন কেন্দ্রের বাইরে বহিরাগত ব্যাক্তিদের ভিড় করতে দেখা গেলেও কিছুক্ষণ পর পরই তাদের কেন্দ্রে থেকে দূরে সরিয়ে দেয় পুলিশ সদস্যরা।
সরকারি নগরকান্দা মহা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ফেরদৌসী বেগম (২৯) বলেন, নির্বাচনে এ সুন্দর পরিবেশ হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। নির্বাচনের পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ।
এ নির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোন প্রার্থী কোন অভিযোগ করেনি। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে ৮১ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও পুলিশ সুপারকে এক সাথে প্রতিটি কেন্দ্র ঘুরে দেখতে দেখা যায়।
এ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলের তিনটি পদে ১৩ এবং সাধারণ কাউন্সিলরলের নয়টি পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
প্রসঙ্গত ১৯৯৯ সালে নগরকান্দা পৌরসভা স্থাপিত হয়। এটি সি গ্রেডের একটি পৌরসভা। গতকালের নির্বাচন ছিল চলমান পৌরসভার নির্বাচনে চতুর্থ ধাপের নির্বাচন।