মহান মুক্তিযুদ্ধে ফরিদপুরের শোভারামপুরে নিজ বাড়ীতে ১৬ বছর বয়সে হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় দোসরদের দ্বারা নির্যাতিত নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) মায়া রানী সাহা অবশেষে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন।
মায়া রানীর স্বীকৃতির বিষয়টি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তাকে স্বীকৃতি স্বরূপ নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) গেজেটভূক্ত করে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব রবীন্দ্র নাথ দত্ত স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ক্রমিক নং- ৮১, গেজেট নং- ৩৮০।
এই বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনা-কে আজ ২৩ ডিসেম্বের নিজ কার্যালয়ে সম্মাননা প্রদান করেন ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম রেজা।
এসময় ইউএনও মোঃ মাসুম রেজা বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অবিস্মরনীয়। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা প্রশাসনের সাহায্যে স্বীকৃতি পেল বীরাঙ্গনা মায়া রানী সাহা। তিনি আরো জানান, মুজিববর্ষে ও বিজয়ের মাসে ফরিদপুর সদর উপজেলায় বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি প্রদান একটি বড় অর্জন মনে করি। এতে আমরা আনন্দিত এবং ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীরাঙ্গনা মায়া রানী সাহার জন্য সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য দেশের ৬১জন বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে একমাত্র মায়া রানী সাহা ফরিদপুরের একজন।