মাহবুব পিায়াল, ফরিদপুর : ‘আধুনিক প্রযুক্তিতে লাভজনক আখের সাথে সাথীফসল চাষাবাদ’ শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত হয়েছে ফরিদপুরে।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিএসআরআই) আয়োজনে সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মথুরাপুরে এর আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংয়ের যুগ্মসচিব শাহীন আখতার।বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংয়ের উপসচিব সুষমা সুলতানা।
তারা কৃষকদের আখ ক্ষেত পরিদর্শন করেন এবং পরে মাঠ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন।
বিএসআরআই এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম রিফাতের সঞ্চালনায় মাঠ দিবসের সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ফরিদপুর সুগারমিলের এমডি মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, বিএসআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাসিবুর রহমান, কৃষক প্রতিনিধি মো. মোমিনউদ্দিন ও জাহিদ, ফরিদপুর সুগারমিলের জিএম (কৃষি) মো. আনিসুজ্জামান, ফরিদপুর সুগার মিলের ডিজিএম (এক্সটেনশন) প্রবীর মল্লিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেশটি ছোট। কিন্তু জনসংখ্যা অনেক বেশি। তাই যাতে অল্পজমিতে বেশি ফসল আবাদ করে সকলে লাভবান হন সেজন্য সরকার আখ ক্ষেতে সাথী ফসল উৎপাদনে কৃষকদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমরা আপনাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবো।
কৃষক মোমিন জানান, তিনি এবার ৩০ শতাংশ জমিতে আখের সাথে সাথীফসল হিসেবে প্রায় ৪০ মন পেঁয়াজ পেয়েছি। যা প্রায় ১ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করেছি।
অন্যান্য বক্তাগণ বলেন, আখের সাথে সাথীফসল করলে ক্ষেতের পরিচর্যা ভালো হয়। এতে আখ চাষে যেই খরচ তা কৃষক তিনমাসের মধ্যেই পেয়ে যায়। এজন্য আখের সাথে কিভাবে লাভজনক সাথী ফসল চাষ করা যায় সে লক্ষ্যেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশের ১৫টি সুগারমিল এলাকায় এই সাথীফসল চাষাবাদ করা হচ্ছে। তারা বলেন, আখের অভাবে অনেক সুগারমিল বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য কৃষক যাতে আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হন, সেজন্য আখের সাথে সাথী ফসল চাষ করা হয়।
সভায় ফরিদপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, গত দুই বছর ফরিদপুর সুগারমিলের উৎপাদন উর্ধ্বমুখী। ফরিদপুর সুগারমিল এলাকায় এবার ৮০ হাজার মেট্রিক টন আখ উৎপাদন হবে বলে আশা রয়েছে।