ফনিদপুর জেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আমন ধানের সোনালী শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। দৃষ্টিসীমা ছাপিয়ে চারদিকে বিরাজ করছে অপার দুলুনি। আর এ দোলায় লুকিয়ে আছে লক্ষ চাষির রঙিন স্বপ্ন। পোকামাকড় বিভিন্ন ধরনের রোগবালায়ের আক্রমন ছাড়াই বেড়ে ওঠা সোনালী ধানের শীষে ভরে গেছে মাঠ। দিগন্তেজোড়া সোনালী ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো বিকশিত করে তুলছে। আর জেলার লক্ষ চাষি পরিবারের মুখে এখন স্বপ্ন পুরনের প্রত্যাশা নিয়ে চাষি ধান কাটায় ব্যস্তসময় পার করছেন।
জেলায় চলিত মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান ৭৫, ব্রি ধান ৮৭, ব্রি ধান ৩৯ ও বিনা ধান ১৭ ব্যাপক ভাবে চাষ হয়েছে তাম্বুলকানা বীজ উৎপাদন খামারে। এছাড়াও জেলার ৯টি উপজেলাতেই আমন ধানের ব্যপক চাষ হয়েছে। এখন চলছে আগাম জাতের ধান কর্তন এর কাজ। চলতি মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাতের কারনে চাষিদের ধান উৎপাদনে বাড়তি সেচ লাগেনি। শুধু মাত্র আগাছা পরিস্কার আর সামান্য পিরমাণের সার ব্যবহার করে আমন ধান উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন চাষিরা।
চাষিরা উৎপাদন খরচ কমাতে কম্বাইন্ড হারভেষ্টার দিয়ে ধান কাটছেন। কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটায় অল্প খরচে, কম সময়ে অধিক জমির ধান কাটতে পারায় খুশি তারা। কম্বাইন্ড হারবেস্টর দিয়ে ধান কাটলে একই সাথে ধান কাঁটা, মাড়াই ও ঝাড়াই হচ্ছে। ফলে চাষিরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।
চাষিরা জানান, ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে ১ মন ১১-১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা ধান কাটছি কম্বাইন্ড হারভেস্টর দিয়ে। কম্বাইন্ড হারভেস্টর দিয়ে ধান কাটলে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭০ হাজার হেক্টোর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।
কৃষিবিদ মো. মনোয়ার হোসেন খান বকুল, সিনয়র সহকারী পিরচালক, বিএডিসি, ফরিদপুর জানান, দেশে অন্য জেলাগুলোতে বন্যায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও ফরিদপুর জেলায় এর প্রভাব পড়েনি।ধানের ফলন হয়েছে ভাল হয়েছে, ধান কাটা ও মাড়াই চলছে, বাজারে ধানের সঠিক মূল্য পাওয়ায় চাষিরা অধিক লাভবান হচ্ছে। আমরা চাষিদের পাশ থেকে কাজ করছি।