ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায় অদ্য ১৭ নভেম্বর ২০২০ খ্রিঃ ফরিদপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব অতুল সরকার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে উক্ত কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ বায়েজিদুর রহমানে নেতৃত্তে বর্তমান দেশের করোনাভাইরাস(কোভিড-১৯)- এর দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ফরিদপুর শহর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে নিউমার্কেট, চকবাজার একাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
চলমান এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় যে সকল জনসাধারণ মুখে মাস্ক ব্যাবহার না করে স্বাস্হ্য বিধি আইন লংঘন করেন, এইরকম অধিক সংখ্যক জনগণকে তাৎক্ষনিক অর্থদন্ড আরোপ ও আদায় করেন এবং একই সাথে উপস্হিত বিপুল সংখ্যক জনসাধারণকে জেলা প্রশাসকের মহোদয়ের পক্ষথেকে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতড়ন করে সকলকে সচেতন হওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন।
প্রাত্যাহিক এই মোবাইল পরিচালনায় প্রসিকিউশন অফিসার হিসাবে দায়িত্ত পালন করেন সিভিল সার্জন মহোদয়ের প্রতিনিধি জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর জনাব মোঃ বজলুর রশীদ খান।
একই সাথে অত্র কোর্টের পেশকার জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং জেলা পুলিশের একটি টিম যথাযথ কর্তব্য কাজে উপস্হিত থাকেন।
ফরিদপুরে কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্রামমান আদালত নিয়মিত পরিচালিত হবে বলে জেলা প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের তথ্যমতে, দেশে মোট নিশ্চিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৩৩। দেশে করোনায় মোট ৬ হাজার ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এশিয়ার ৪৯টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন পঞ্চম। আর চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় নিলে এশিয়ায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। শুরুর দিকে পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ শনাক্তের হার কম ছিল। ক্রমে সেটা বাড়তে থাকে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণ শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়।
গত ২১ আগস্ট থেকে দৈনিক করোনা রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে থাকছে।আসন্ন শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার আশঙ্কা আছে। শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও দেখা যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহের শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তির দিকে।
ছবি: সংগ্রহীত