মাহবুব পিয়াল, ১ আগষ্ট, ফরিদপুর প্রতিনিধি : প্রতিবছর জিংকের অভাবে ৩৬ ভাগ শিশু ও ৫৭ ভাগ মহিলা অপুষ্টিতে ভুগছে। পাশাপাশি ৪৪ ভাগ কিশোরী জিংকের অভাবে খাটো হয়ে যাচ্ছে। হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা জিংক সমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদন ও বছরব্যাপী সরবরাহের ওপর গুরত্ব দিচ্ছেন। জিংকসমৃদ্ধ ধান উৎপাদনের মাধ্যমেই পুষ্টির চাহিদা পূরণ সম্ভব।
হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের সহযোগীতায় আমরা কাজ করি (একেকে) এর বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি, ফরিদপুরে সম্মেলন কক্ষে কৃষকদের নিয়ে ” জিংক ধান উৎপাদন এবং বাজারজাত করনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক দুদিন ব্যাপী প্রশিক্ষন সোমবার (১আগষ্ট) থেকে শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালক ডঃ মোঃ হযরত আলী। আমরা কাজ করি -একেকে এর সমন্বয়কারী এম এ কুদ্দুস মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিবিসি’র কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ আবু হানিফা, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোঃ জাহিদ হোসাইন।
জিংক ধানের বর্তমান অবস্থা, বাজার সম্প্রসারন ও আগামী দিনে জিংক চাল বানিজ্যিকিকরণ পরিকল্পনা তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালক ডঃ মোঃ হযরত আলী । তিনি বলেন, বাজারে জিংক চাল হিসেবে ব্রান্ডিং এর মাধ্যমে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং ভোক্তাদের মাঝে জিংক চালের ভাত খাওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করতে হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি জিংক চালের উপকারিতা উল্লেখপূর্বক সবাইকে জিংকের ঘাটতি পূরণে জিংক চালের ভাত খাওয়ার উপর তাগিদ দেন। অতিথিবৃন্দ জিংক চালের নতুন নতুন উদোক্তাদের সার্বিক সহযোগীতা করার আশ্বাস ব্যক্ত করেন। দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষনে ৫০জন কৃষক আংশ নিচ্ছেন।