গণতান্তিক নামধারী বর্তমান সরকার সেক্টর কমান্ডারের নামে নামাকিংত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ফেলে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটাচ্ছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা ও জন্মদিনের কেক কাটার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, কেন্দীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক হাবিব শেখ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধিনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই ছিলেন না তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের একটি সেক্টরের সেক্টর প্রধান। তিনি একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠিতা।
বক্তারা আরও বলেন, গণতান্ত্রিক নামধারী বর্তমান সরকার সেক্টর কমান্ডারের নামে নামাংকিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ফেলে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটাচ্ছে। এটি দেশের জন্য অশুভ সংকেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী দাবীদার একটি দলের কাছ থেকে একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সাথে এ জাতীয় আচরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আলোচনাসভা শেষে জন্মদিনের কেক কাটা হয় এবং কেক উপস্থিত সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। পুলিশের দাবির মুখে কর্মসূচী সংক্ষিপ্ত পরিসরে শেষ করতে বাধ্য হন নেতৃবৃন্দ।