রোববার ফরিদপুরে দ্বিতীয় দিনের মত চলছে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ফরিদপুরের সদর উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরণ। ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে শনিবার চার ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
দেশের ব্যাবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ বলেছেন, পদ্মাসেতু চালু হওয়ার আগেই ফরিদপুরে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অবহেলিত পদ্মার চরাঞ্চলের মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এ. কে. আজাদ বলেন, শুধু কম্বল দিয়ে মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করা যাবেনা, সে জন্যে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করতে হবে। তিনি বলেন, পদ্মাসেতু এই অঞ্চলের মানুষের জন্যে আশীর্বাদ স্বরুপ, সেতু উদ্বোধনের আগেই আমরা এই অঞ্চলে কল কারখানা স্থাপন করে মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে চেষ্টা করবো।
সোমবার ফরিদপুর সদর উপজেলার অন্য চারটি ইউনিয়নে কম্বল বিতরণের মাধ্যমে তিন দিনের এই শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন হবে।
ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানগুলোতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ. কে. আজাদ।
সম্প্রতি ফরিদপুরের আওয়ামী রাজনীতিতে নেতৃত্বের যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, এই শীত বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই অচল অবস্থা কাটতে শুরু করেছে।
এদিন সকালে সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নে, দুপুরে আলিয়াবাদ ইউনিয়নে, বিকেলে ডিক্রিরচর ইউনিয়নে ও সন্ধ্যায় নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, যুব লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন, শারমিন গ্রুপের স্বত্ত্বাধিকারী ইসমাইল হোসেন, হা-মীম গ্রুপের পরিচালক বেলাল হোসেন, আওয়ামী লীগের নেতা শহিদুল ইসলাম নিরু, শাহ আলম মুকুল, মনিরুল হাসান মিঠু, মিয়া মঞ্জুর এলাহি পিরু, মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহনেওয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন আহমেদ মানু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পদক কে এম সেলিম, অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান বাবুল, জেলা পরিষদের সদস্য মুসা ফকির, কোতয়ালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী গোলাম মহিউদ্দীন তাসলিম, দিপক মজুমদার, মনির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি মাসুদ, অ্যাডভোকেট জাহিদ ব্যাপারী, আবুল বাতিন, শওকত আলী জাহিদ, মনিরুজ্জামান মনির, সোহেল রেজা বিপ্লব, আবু নাঈম, সাংবাদিক রাজিব খান, এ্যাড. মিজানুর রহমান, ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু, চরমাধবদিয়া সাবেক চেয়ারম্যান তুহিনুর রহমান খোকন মন্ডল, ফজলুর রহমান ফজল, এম এ জলিল, মাজেদ ফকির, রহমান ফকির প্রমুখ।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ বলেন, শুধু কম্বল দিয়ে মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করা যাবেনা, সে জন্যে আর্ত সামাজিক অবস্থার উন্ততি করতে হবে। তিনি বলেন, পদ্মাসেতু এই অঞ্চলের মানুষের জন্যে আশির্বাদ স্বরপ, সেতু উদ্বোধনের আগেই আমরা এই অঞ্চলে কল কারখানা স্থাপন করে মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে চেষ্টা করবো।