ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
যারা মজলুম থেকে জালিম হচ্ছে, কেন সেটা হচ্ছে, ভাবতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য কোনো বিদেশি শক্তি সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিল বলে বিশ্বাস করেন না শেখ হাসিনা সোনার দাম ভরিতে কমলো ৫৪৪৭ হাজার টাকা ফরিদপুরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেড় বছরের মধ্যে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ফরিদপুরে আলিয়াবাদ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটনার অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন ডাক্তার ওমর নাবির বাড়ি আগামী সপ্তাহেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন ট্রাম্প এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৫ নভেম্বর ২০২৫

ফরিদপুরে ধানের শীষ প্রতীক যে পাবে তাঁর জন্যই ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার অঙ্গিকার

  • মাহবুব পিয়াল
  • Update Time : ১২:৪৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৬ Time View

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে যিনি ধানের শীষ প্রতীক পাবেন, ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা তাঁকেই জিতিয়ে নেওয়ার জন্য জানপ্রাণ দিয়ে কাজ করবো। এই নির্বাচনে ফরিদপুর সদর আসনে এবার ধানের শীষ প্রতীক হেরে গেলে আমরা শুধু হারবোই না, চিরতরে হারিয়ে যাবো। তাই আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই ধানের শীষকে সর্বশক্তি দিয়ে বিজয়ী করে আনতে হবে।
বুধবার রাতে শহরের হাবেলি গোপালপুরে আফজাল হোসেন খান পলাশের বাসভবন প্রাঙ্গণে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় রাজপথের অকুতোভয় দুঃসাহসী নেতা হিসেবে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশকে জেলা বিএনপির পরবর্তী সভাপতি দেখতে চান বলেও নেতাকর্মীরা জোরালো বক্তব্য দেন। তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচিতে আফজাল হোসেন খান পলাশের দৃঢ় ভুমিকা রেখেছেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের করণীয় কি হবে, আমরা কি করবো সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই সভার আয়োজন। যারা আমার আহবানে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছেন, সকলের প্রতিই কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ফরিদপুরের রাজপথে কোন আন্দোলন হয়েছে আর আমি আফজাল হোসেন খান পলাশ ছিলাম না তা কখনই হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা দিয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় জাতীয় পর্যায়ে মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন চলছিল, তেমনি ফরিদপুরেও একটা চক্রান্ত হয়েছিল। কামাল ভাইকে বাদ দিয়ে জামায়াতের প্রার্থী মুজাহিদ সাহেবকে মনোনয়ন দিয়েছিল। এর নেপথ্যে ছিলো কিছু নেতার চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। আজকে তারা আবার বিএনপিকে নিয়ে চক্রান্ত শুরু করে়ছে। আমরা কোন ভয়ভীতি লোভ লালসার কাছে নত হবোনা। ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করে বিএনপির ধানের শীষকে বিজয়ী করবো। আমরা সঠিক পথে থাকবো। সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবো।
ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি শামীম হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবি সিদ্দিকী মিতুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আরেফিন সাগর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএ সালাম লাল, ফরিদপুর সুগার মিলের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দীন বিশ্বাস , জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার জোয়ার্দার, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কেএম জাফর, মোহসিনুল কবির রুবেল, টিটু খাঁন, শ্যামসুন্দরপুর নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা মুতাওয়াল্লী আলহাজ্ব ফরিদ শেখ, বিএনপির প্রবীণ নেতা আলমগীর মাস্টার, মো: রেজাউল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার খান, শাহীন হক, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর কবির, আলতাফ হোসেন, হাফিজুর রহমান রাজা, জিন্না মেম্বার, হায়দার হোসেন সহ অনুষ্টানে পয়তাল্লিশ জন বক্তা বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন, যদি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর সুযোগ্য কন্যা চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে বিএনপি থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়, আমরা সন্তুষ্টচিত্তে দলের সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিবো। আমরা যেকোন মূল্যে ধানের শীষের প্রার্থীকে জয়ী করবোই করবো ইনশাআল্লাহ। আজকের এই সভা থেকেই নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হলো। এবারের নির্বাচনে জিততে না পারলে আগামী পনের বছরেও আমাদের পক্ষে জেতা সম্ভব হবেনা। এব্যাপারে তারা প্রয়োজনে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য সকল প্রার্থীদের নিয়ে বোর্ড গঠন করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন।

Tag :
জনপ্রিয়

যারা মজলুম থেকে জালিম হচ্ছে, কেন সেটা হচ্ছে, ভাবতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ফরিদপুরে ধানের শীষ প্রতীক যে পাবে তাঁর জন্যই ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার অঙ্গিকার

Update Time : ১২:৪৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে যিনি ধানের শীষ প্রতীক পাবেন, ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা তাঁকেই জিতিয়ে নেওয়ার জন্য জানপ্রাণ দিয়ে কাজ করবো। এই নির্বাচনে ফরিদপুর সদর আসনে এবার ধানের শীষ প্রতীক হেরে গেলে আমরা শুধু হারবোই না, চিরতরে হারিয়ে যাবো। তাই আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই ধানের শীষকে সর্বশক্তি দিয়ে বিজয়ী করে আনতে হবে।
বুধবার রাতে শহরের হাবেলি গোপালপুরে আফজাল হোসেন খান পলাশের বাসভবন প্রাঙ্গণে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় রাজপথের অকুতোভয় দুঃসাহসী নেতা হিসেবে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশকে জেলা বিএনপির পরবর্তী সভাপতি দেখতে চান বলেও নেতাকর্মীরা জোরালো বক্তব্য দেন। তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচিতে আফজাল হোসেন খান পলাশের দৃঢ় ভুমিকা রেখেছেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের করণীয় কি হবে, আমরা কি করবো সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই সভার আয়োজন। যারা আমার আহবানে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছেন, সকলের প্রতিই কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ফরিদপুরের রাজপথে কোন আন্দোলন হয়েছে আর আমি আফজাল হোসেন খান পলাশ ছিলাম না তা কখনই হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা দিয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় জাতীয় পর্যায়ে মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন চলছিল, তেমনি ফরিদপুরেও একটা চক্রান্ত হয়েছিল। কামাল ভাইকে বাদ দিয়ে জামায়াতের প্রার্থী মুজাহিদ সাহেবকে মনোনয়ন দিয়েছিল। এর নেপথ্যে ছিলো কিছু নেতার চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। আজকে তারা আবার বিএনপিকে নিয়ে চক্রান্ত শুরু করে়ছে। আমরা কোন ভয়ভীতি লোভ লালসার কাছে নত হবোনা। ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করে বিএনপির ধানের শীষকে বিজয়ী করবো। আমরা সঠিক পথে থাকবো। সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবো।
ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি শামীম হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবি সিদ্দিকী মিতুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আরেফিন সাগর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএ সালাম লাল, ফরিদপুর সুগার মিলের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দীন বিশ্বাস , জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার জোয়ার্দার, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কেএম জাফর, মোহসিনুল কবির রুবেল, টিটু খাঁন, শ্যামসুন্দরপুর নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা মুতাওয়াল্লী আলহাজ্ব ফরিদ শেখ, বিএনপির প্রবীণ নেতা আলমগীর মাস্টার, মো: রেজাউল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার খান, শাহীন হক, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর কবির, আলতাফ হোসেন, হাফিজুর রহমান রাজা, জিন্না মেম্বার, হায়দার হোসেন সহ অনুষ্টানে পয়তাল্লিশ জন বক্তা বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন, যদি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর সুযোগ্য কন্যা চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে বিএনপি থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়, আমরা সন্তুষ্টচিত্তে দলের সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিবো। আমরা যেকোন মূল্যে ধানের শীষের প্রার্থীকে জয়ী করবোই করবো ইনশাআল্লাহ। আজকের এই সভা থেকেই নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হলো। এবারের নির্বাচনে জিততে না পারলে আগামী পনের বছরেও আমাদের পক্ষে জেতা সম্ভব হবেনা। এব্যাপারে তারা প্রয়োজনে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য সকল প্রার্থীদের নিয়ে বোর্ড গঠন করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন।