মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর : ফরিদপুরের নগরকান্দা ও মধুখালীতে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ফরিদপুর- বরিশাল মহাসড়কের নগরকান্দার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বাসাগাড়ী নামক স্থানে বাস ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২০ হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফরিদপুরের দিক থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আলিফ মিম পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয় বলে জানায় নগরকান্দা থানার ওসি মোঃ সফর আলী, তবে নিহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নজরুল ইসলাম।
এদিকে, ফরিদপুর- খুলনা মহাসড়কের মধুখালীতে পুলিশ চেকপোস্টের সিগন্যাল এড়িয়ে পালানোর সময় একটি মোটরসাইকেলকে পিছন থেকে অপর একটি যাত্রীবাহী বাস সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার পর উত্তেজিত হয়ে স্থানীয় জনতা সেখানে কর্তব্যরত পুলিশদের ধাওয়া করে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত স্থান থেকে লাশ উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১ টার দিকে মধুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ছোকড়িকান্দি চেকপোষ্টের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা সম্পর্কে দুলাভাই। এরা হলেন- ফরিদপুর শহরের শোভারামপুর মহল্লার সাধন কুমার দাসের ছেলে বাঁধন কুমার দাস(২৭) ও তার শ্যালক ফরিদপুর মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রান্ত দাস (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরিদপুর থেকে মধুখালীর দিকে যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেলের দুই আরোহী। পথিমধ্যে বোয়ালিয়ায় পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রম করার তাদের সিগন্যাল দিলে তারা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ফরিদপুরগামী মুক্তা পরিবহন ( খুলনা মেট্রো ব ১১-০০৯৪) নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের নিচে পড়ে তারা মারা যান।
মধুখালী থানার ওসি মো: সালাহ উদ্দিন চৌধুরী অবশ্য সেখানে পুলিশের কোন চেকপোস্ট ছিলোনা জানিয়ে বলেন, খবর পেয়ে টহল পুলিশের একটি দল নিহতদের উদ্ধার করে।