মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করার নজির পৃথিবীতে আর নেই। বাঙালি সেই ভাষা বীরদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ঢল নেমেছে। ফরিদপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সারাদেশের শহীদ মিনারগুলোতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হচ্ছে।
মহান ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারও মানুষের ঢল নামে। রোববার ভোরেও এই দৃশ্য দেখা গেছে সারাদেশের শহীদ মিনারগুলোতে। করোনার কারণে সারাদেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারগুলোতে দলে দলে ফুল নিয়ে হাজির হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ভাষার জন্য জীবনদানকারী বীরদের।
২১ শে ফেব্রুয়ারি ১ম প্রহরে ১২টা ০১মিনিটে অম্বিকা ময়দানে অবস্থিত কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শুরু হয়। এর পর ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ভাষা শহীদের প্রতি সম্মান শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন তারপর পুলিশ সুপার শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করলে সাধারণ মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ খুলে দেওয়া হয়। এরপর সর্বস্তরের জনতা শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের প্রতিনিধিদল, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার ব্যক্তিবর্গ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে সাধারণ মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ খুলে দেওয়া হয়। এরপর সর্বস্তরের জনতা শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফিরে যাচ্ছেন আপন গন্তব্যে। সকালে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রভাতফেরীও হয়েছে।
তবে এবারের শহীদ মিনারে আগত ব্যক্তিদের মানতে হচ্ছে বিশেষ সতর্কতা। মাস্ক পরা এবং নির্দিষ্ট রুটম্যাপ অনুসরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন তারা।
এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঁচ এবং ব্যক্তি পর্যায়ে দুজন করে শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার নির্দেশনা কর্তৃপক্ষের।