ঢাকা ০১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে মাদক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর: মাদক মামলায় ঝিনাইদহ জেলার সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শেখ আজমকে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে ফরিদপুরের আদালত। একই সাথে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।

সাজাপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার পাচুরিয়া গ্রামের আলী আহমদ শেখের পুত্র। বর্তমানে তিনি সিলেট জেলায় কর্মরত ছিলেন।

আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধুখালী থানার এস আই কামরুজ্জামান মোবাইল ফোনে খবর পান জেলার মধুখালী রেলগেট পশ্চিম পাশে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনার স’মিল মিস্ত্রি মোঃ মজিবর মোল্লা আহত হন। সে সময় মোটর সাইকেল আরোহী দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কারলে স্থানীয় জনতা শেখ আজম কে আটক করে। তিনি ঝিনাইদাহ জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ এসে এরপর মোটরসাইকেলের সাথে গোপন একটি বাক্স থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে মধুখালি থানার মাদক আইনে পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন অরো জানান, আসামি চুয়াডাঙ্গা জেলা সিমান্ত থেকে রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ ঘাট এলাকা প্রায়ই যাতায়াত করত এবং মাদক পরিবহন ও ব্যবসায় করতো।

২০১৮ সালের ৭ মে মধুখালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো: মিজানুর রহমান আদালতে এ মামলার অভিযোগ পত্র জমা দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ) ধারায় আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মোটরসাইকেল আরোহী অপর এক আসামি নুর আলমকে খালাস প্রদান করেন আদালত।

Tag :

ফরিদপুরে মাদক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

Update Time : ০৪:৫৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর: মাদক মামলায় ঝিনাইদহ জেলার সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শেখ আজমকে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে ফরিদপুরের আদালত। একই সাথে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।

সাজাপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার পাচুরিয়া গ্রামের আলী আহমদ শেখের পুত্র। বর্তমানে তিনি সিলেট জেলায় কর্মরত ছিলেন।

আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধুখালী থানার এস আই কামরুজ্জামান মোবাইল ফোনে খবর পান জেলার মধুখালী রেলগেট পশ্চিম পাশে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনার স’মিল মিস্ত্রি মোঃ মজিবর মোল্লা আহত হন। সে সময় মোটর সাইকেল আরোহী দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কারলে স্থানীয় জনতা শেখ আজম কে আটক করে। তিনি ঝিনাইদাহ জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ এসে এরপর মোটরসাইকেলের সাথে গোপন একটি বাক্স থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে মধুখালি থানার মাদক আইনে পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন অরো জানান, আসামি চুয়াডাঙ্গা জেলা সিমান্ত থেকে রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ ঘাট এলাকা প্রায়ই যাতায়াত করত এবং মাদক পরিবহন ও ব্যবসায় করতো।

২০১৮ সালের ৭ মে মধুখালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো: মিজানুর রহমান আদালতে এ মামলার অভিযোগ পত্র জমা দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ) ধারায় আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মোটরসাইকেল আরোহী অপর এক আসামি নুর আলমকে খালাস প্রদান করেন আদালত।