ঢাকা ০৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলি হয়েছে এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ এখনও মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন পর্যন্ত দেশের জনগণের জন্য ভালো সমাধান: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদান বন্ধ করতে পারবেন না বলে জানান মোদি: ড. ইউনূস আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ২৮ এপ্রিল পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে দেশের পথে রওয়ানা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশে ফিরছেন রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আগাম সতর্কতা ছাড়াই ঝিলাম নদীর পানি ছেড়ে দেওয়ায় বন্যার কবলে পড়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একাংশ

ফরিদপুরে মানি লন্ডারিং মামলায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে প্রেরণ

  • মাহবুব পিয়াল
  • Update Time : ০৫:১৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
  • ৩৯৫ Time View

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিস্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুর সদর উপজেলার দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন মহামান্য আদালত।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াউটার দিকে ঢাকা মেট্রপলিটান দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ জজ ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। আদেশের পর তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর যুবলীগের সদস্য শহীদুল ইসলাম মজনু (৪৭) এবং সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির বেলায়েত হোসেন (৫০)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে  পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর দায়ের করা দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা হয় ঢাকার কাফরুল থানায়। ওই মামলায় গ্রেফতার হন বরকত এবং রুবেল। গ্রেফতারের পর তাদের স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শহিদুল ইসলাম মজনু ও ফকির বেলায়েতের নাম আসে আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা ও তাদের সহযোগী হিসেবে।

এ খবর জানার পর ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান। পরে তারা হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তিকালীন জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হাইকোর্ট তাদের নিন্ম আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। জামিন শেষে তারা ঢাকার মেট্রোপলিটান দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত ১৯ জানুয়ারি জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার উত্তম বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার বরকত-রুবেলের সহযোগী ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন শুনানী হয়। এতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারি প্রসিকিউশন মো: ফরিদ আহমেদ এবং অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল এবং আসামী পক্ষে আইনজীবী শাহ আলম ও মো: বাহার সওয়াল জবাব করেন।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে শহিদুল ইসলাম মজনু ও ফকির বেলায়েতকে জেল হাজতে প্রেরণর আদেশ দেন।

Tag :

ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলি হয়েছে

ফরিদপুরে মানি লন্ডারিং মামলায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে প্রেরণ

Update Time : ০৫:১৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিস্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুর সদর উপজেলার দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন মহামান্য আদালত।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াউটার দিকে ঢাকা মেট্রপলিটান দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ জজ ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। আদেশের পর তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর যুবলীগের সদস্য শহীদুল ইসলাম মজনু (৪৭) এবং সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির বেলায়েত হোসেন (৫০)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে  পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর দায়ের করা দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা হয় ঢাকার কাফরুল থানায়। ওই মামলায় গ্রেফতার হন বরকত এবং রুবেল। গ্রেফতারের পর তাদের স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শহিদুল ইসলাম মজনু ও ফকির বেলায়েতের নাম আসে আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা ও তাদের সহযোগী হিসেবে।

এ খবর জানার পর ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান। পরে তারা হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তিকালীন জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হাইকোর্ট তাদের নিন্ম আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। জামিন শেষে তারা ঢাকার মেট্রোপলিটান দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত ১৯ জানুয়ারি জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার উত্তম বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার বরকত-রুবেলের সহযোগী ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন শুনানী হয়। এতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারি প্রসিকিউশন মো: ফরিদ আহমেদ এবং অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল এবং আসামী পক্ষে আইনজীবী শাহ আলম ও মো: বাহার সওয়াল জবাব করেন।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে শহিদুল ইসলাম মজনু ও ফকির বেলায়েতকে জেল হাজতে প্রেরণর আদেশ দেন।