ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিস্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুর সদর উপজেলার দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন মহামান্য আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াউটার দিকে ঢাকা মেট্রপলিটান দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ জজ ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। আদেশের পর তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর যুবলীগের সদস্য শহীদুল ইসলাম মজনু (৪৭) এবং সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির বেলায়েত হোসেন (৫০)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর দায়ের করা দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা হয় ঢাকার কাফরুল থানায়। ওই মামলায় গ্রেফতার হন বরকত এবং রুবেল। গ্রেফতারের পর তাদের স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শহিদুল ইসলাম মজনু ও ফকির বেলায়েতের নাম আসে আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা ও তাদের সহযোগী হিসেবে।
এ খবর জানার পর ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান। পরে তারা হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তিকালীন জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হাইকোর্ট তাদের নিন্ম আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। জামিন শেষে তারা ঢাকার মেট্রোপলিটান দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত ১৯ জানুয়ারি জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার উত্তম বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার বরকত-রুবেলের সহযোগী ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন শুনানী হয়। এতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারি প্রসিকিউশন মো: ফরিদ আহমেদ এবং অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল এবং আসামী পক্ষে আইনজীবী শাহ আলম ও মো: বাহার সওয়াল জবাব করেন।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে শহিদুল ইসলাম মজনু ও ফকির বেলায়েতকে জেল হাজতে প্রেরণর আদেশ দেন।