ঢাকা ০৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
তিন বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে জরুরি উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি নিষিদ্ধ হলো রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, প্রজ্ঞাপন জারি ফেসবুক-ইউটিউবে কেউ আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেও তাকে গ্রেফতার করা যাবে এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১১ মে ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ১২মে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই: এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে সম্মত থাকবে বিএনপি

ডাক্তার নন! তবুও দরিদ্র অসুস্থ মানুষের ভরসা ব্যক্তিত্ব অতুল সরকার

  • মাহবুব পিয়াল
  • Update Time : ০৪:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৩৯১ Time View

দরিদ্র অসুস্থ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন অতুল সরকার। নানা জনের নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি দরিদ্র অসুস্থ ব্যক্তিদের গুরুত্ব দিয়ে সেবা দিচ্ছেন। তিনি কিন্তু কোন ডাক্তার নন! তিনি একজন জেলা প্রশাসক; ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

জেলার দরিদ্র অসুস্থ মানুষেরা যে কোনো সমস্যায় সরাসরি এসে কথা বলছেন জেলা প্রশাসকের সাথে। কারো কিডনীতে সমস্যা, কারো ক্যান্সার, কারো বা বিষ ব্যাথা, কারো চোখে সমস্যা, কারো বা এর চাইতেও জটিল সমস্যা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তারা। জেলা প্রশাসক অতুল সরকার দরিদ্র অসুস্থ মানুষের কথা শুনছেন। কাউকে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন  ক্যান্সার হাসপাতালে, কাউকে কিডনী চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে পাঠাচ্ছেন। কাউকে পাঠাচ্ছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আবার কাউকে পাঠাচ্ছেন ফরিদপুর সদর হাসাপাতালে।

প্রতিনিয়তই সেবা সাহায্যের জন্য অসংখ্য মানুষ হাজির হচ্ছেন জেলা প্রশাসকের দ্বারে। জানাচ্ছেন তাদের সমস্যা। ছোট ছোট অসুস্থতা জনিত সমস্যার জন্য জেলা প্রশাসক অতুল সরকার নিজ উদ্যোগে নগদ সহায়তা করছেন। সেবা প্রার্থীদের দু’চারজন আবার টাকা নিতে অনিচ্ছুক। তাদের দাবী ঔষুধ কিনে দিতে হবে। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষনিক টাকা দিয়ে ঔষুধের দোকান হতে ঔষুধ আনিয়ে দিচ্ছেন। জটিল রোগীদের চিকিৎসায় বেশি টাকা খরচ হতে পারে; তাই জটিল রোগীদের জন্য সরকার প্রদত্ত বরাদ্দ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করছেন।

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ সকাল সকালই অতুল সরকারের দ্বারে হাজির হয়েছে আখি আক্তার। বয়স ১৬ বছর। ফরিদপুর জেলা সদরের উত্তর দিকে একটি ইউনিয়নের গ্রামীন বাসিন্দা। পড়াশোনা করছে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে। বাড়িতে আখির আরো ছোট দুই ভাই রয়েছে। একজন একটি এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। অন্যজনের বয়স ৩ বছর। তাদের পিতা আলম শেখ অসুস্থ। কোন কাজ কর্ম করতে পারে না। যৎকিঞ্চিৎ ফসলি জমির উপর নির্ভরশীল পুরো পরিবার। কোন মতে দুবেলা দুমুঠো খাবার পেলেও বাবার চিকিৎসা করাতে পারছে না। তাই অসুস্থ বাবাকে নিয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের দ্বারে হাজির। জেলা প্রশাসক তার কথা শুনে এবং অসুস্থ বাবাকে দেখে তাকে নগদ সহায়তা করলেন।

শুধু আখির বাবাকেই নয়, জেলা সদরের তাম্বুল খানা-কুজুর দিয়ার বিলকিছ বেগম, হালিমুন খাতুন, ভাটিলক্ষীপুরের রেহেনা খাতুন, কানাইপুর পশ্চিম গঙ্গাবদ্দীর আঃ ছাত্তার শেখ, মালাম দরানী, নিখরদী পশ্চিম বিলনালিয়ার মোঃ মাহমুদুল হাসান, আবদুল্লাহ সাকিন, চর কমলাপুরের রাশেদা, ববিতা, বিল মামুদপুরের লিলি বেগম, গোয়ালচামটের দীপক চন্দ্র শীল, কবিতা রানী শীল, বিহারী কলোনীর হাওয়া বেগম, বোয়ালমারী উপজেলার লষ্করদয়িার অমল বিশ্বাস প্রমুখকে আর্থিক সহায়তা, অধিক সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সাধারণত প্রতিদিনই জনসাধারণের কথা শুনে থাকেন। তবে বিশেষভাবে প্রতি বুধবার দীর্ঘ সময় নিয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এতে জমির একসনা বন্দোবস্ত প্রাপ্তি, আইনগত সহায়তা, আর্থিক সাহায্য, টিআর, জিআর. সরকারি ডেউটিন, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তি, বিধবা ভাতা প্রাপ্তি, বাল্য বিবাহ রোধ, জমিজমা বিরোধ সংক্রান্ত, ঘর মেরামত , পড়ালেখার খরচ চালানো, শীতের পোষাক প্রাপ্তি, ধর্মীয় কার্যাদিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জেলার নাগরিকগন জেলা প্রশাসককে জানান। জেলা প্রশাসক সেসব সমস্যা সমাধান করে থাকেন।

Tag :

তিন বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে জরুরি উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি

ডাক্তার নন! তবুও দরিদ্র অসুস্থ মানুষের ভরসা ব্যক্তিত্ব অতুল সরকার

Update Time : ০৪:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

দরিদ্র অসুস্থ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন অতুল সরকার। নানা জনের নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি দরিদ্র অসুস্থ ব্যক্তিদের গুরুত্ব দিয়ে সেবা দিচ্ছেন। তিনি কিন্তু কোন ডাক্তার নন! তিনি একজন জেলা প্রশাসক; ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

জেলার দরিদ্র অসুস্থ মানুষেরা যে কোনো সমস্যায় সরাসরি এসে কথা বলছেন জেলা প্রশাসকের সাথে। কারো কিডনীতে সমস্যা, কারো ক্যান্সার, কারো বা বিষ ব্যাথা, কারো চোখে সমস্যা, কারো বা এর চাইতেও জটিল সমস্যা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তারা। জেলা প্রশাসক অতুল সরকার দরিদ্র অসুস্থ মানুষের কথা শুনছেন। কাউকে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন  ক্যান্সার হাসপাতালে, কাউকে কিডনী চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে পাঠাচ্ছেন। কাউকে পাঠাচ্ছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আবার কাউকে পাঠাচ্ছেন ফরিদপুর সদর হাসাপাতালে।

প্রতিনিয়তই সেবা সাহায্যের জন্য অসংখ্য মানুষ হাজির হচ্ছেন জেলা প্রশাসকের দ্বারে। জানাচ্ছেন তাদের সমস্যা। ছোট ছোট অসুস্থতা জনিত সমস্যার জন্য জেলা প্রশাসক অতুল সরকার নিজ উদ্যোগে নগদ সহায়তা করছেন। সেবা প্রার্থীদের দু’চারজন আবার টাকা নিতে অনিচ্ছুক। তাদের দাবী ঔষুধ কিনে দিতে হবে। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষনিক টাকা দিয়ে ঔষুধের দোকান হতে ঔষুধ আনিয়ে দিচ্ছেন। জটিল রোগীদের চিকিৎসায় বেশি টাকা খরচ হতে পারে; তাই জটিল রোগীদের জন্য সরকার প্রদত্ত বরাদ্দ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করছেন।

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ সকাল সকালই অতুল সরকারের দ্বারে হাজির হয়েছে আখি আক্তার। বয়স ১৬ বছর। ফরিদপুর জেলা সদরের উত্তর দিকে একটি ইউনিয়নের গ্রামীন বাসিন্দা। পড়াশোনা করছে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে। বাড়িতে আখির আরো ছোট দুই ভাই রয়েছে। একজন একটি এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। অন্যজনের বয়স ৩ বছর। তাদের পিতা আলম শেখ অসুস্থ। কোন কাজ কর্ম করতে পারে না। যৎকিঞ্চিৎ ফসলি জমির উপর নির্ভরশীল পুরো পরিবার। কোন মতে দুবেলা দুমুঠো খাবার পেলেও বাবার চিকিৎসা করাতে পারছে না। তাই অসুস্থ বাবাকে নিয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের দ্বারে হাজির। জেলা প্রশাসক তার কথা শুনে এবং অসুস্থ বাবাকে দেখে তাকে নগদ সহায়তা করলেন।

শুধু আখির বাবাকেই নয়, জেলা সদরের তাম্বুল খানা-কুজুর দিয়ার বিলকিছ বেগম, হালিমুন খাতুন, ভাটিলক্ষীপুরের রেহেনা খাতুন, কানাইপুর পশ্চিম গঙ্গাবদ্দীর আঃ ছাত্তার শেখ, মালাম দরানী, নিখরদী পশ্চিম বিলনালিয়ার মোঃ মাহমুদুল হাসান, আবদুল্লাহ সাকিন, চর কমলাপুরের রাশেদা, ববিতা, বিল মামুদপুরের লিলি বেগম, গোয়ালচামটের দীপক চন্দ্র শীল, কবিতা রানী শীল, বিহারী কলোনীর হাওয়া বেগম, বোয়ালমারী উপজেলার লষ্করদয়িার অমল বিশ্বাস প্রমুখকে আর্থিক সহায়তা, অধিক সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সাধারণত প্রতিদিনই জনসাধারণের কথা শুনে থাকেন। তবে বিশেষভাবে প্রতি বুধবার দীর্ঘ সময় নিয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এতে জমির একসনা বন্দোবস্ত প্রাপ্তি, আইনগত সহায়তা, আর্থিক সাহায্য, টিআর, জিআর. সরকারি ডেউটিন, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তি, বিধবা ভাতা প্রাপ্তি, বাল্য বিবাহ রোধ, জমিজমা বিরোধ সংক্রান্ত, ঘর মেরামত , পড়ালেখার খরচ চালানো, শীতের পোষাক প্রাপ্তি, ধর্মীয় কার্যাদিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জেলার নাগরিকগন জেলা প্রশাসককে জানান। জেলা প্রশাসক সেসব সমস্যা সমাধান করে থাকেন।