ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল করা হবে: আইন উপদেষ্টা ফরিদপুরে শারদীয় দূর্গা উৎসব নিয়ে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাতবারের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে ফের ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৪৬ জন নিহত হয়েছেন লিওনেল মেসির জাদুতে এবারের সাপোর্টার্স শিল্ড জিতে নিল ইন্টার মায়ামি আজকের নামাজের সময়সূচি ৩রা অক্টোবর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা হিজবুল্লাহর হামলায় ৪ ইসরাইলি সেনা নিহত ফরিদপুরে সীরতুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ

ডাক্তার নন! তবুও দরিদ্র অসুস্থ মানুষের ভরসা ব্যক্তিত্ব অতুল সরকার

  • মাহবুব পিয়াল
  • Update Time : ০৪:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৩৬৫ Time View

দরিদ্র অসুস্থ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন অতুল সরকার। নানা জনের নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি দরিদ্র অসুস্থ ব্যক্তিদের গুরুত্ব দিয়ে সেবা দিচ্ছেন। তিনি কিন্তু কোন ডাক্তার নন! তিনি একজন জেলা প্রশাসক; ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

জেলার দরিদ্র অসুস্থ মানুষেরা যে কোনো সমস্যায় সরাসরি এসে কথা বলছেন জেলা প্রশাসকের সাথে। কারো কিডনীতে সমস্যা, কারো ক্যান্সার, কারো বা বিষ ব্যাথা, কারো চোখে সমস্যা, কারো বা এর চাইতেও জটিল সমস্যা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তারা। জেলা প্রশাসক অতুল সরকার দরিদ্র অসুস্থ মানুষের কথা শুনছেন। কাউকে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন  ক্যান্সার হাসপাতালে, কাউকে কিডনী চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে পাঠাচ্ছেন। কাউকে পাঠাচ্ছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আবার কাউকে পাঠাচ্ছেন ফরিদপুর সদর হাসাপাতালে।

প্রতিনিয়তই সেবা সাহায্যের জন্য অসংখ্য মানুষ হাজির হচ্ছেন জেলা প্রশাসকের দ্বারে। জানাচ্ছেন তাদের সমস্যা। ছোট ছোট অসুস্থতা জনিত সমস্যার জন্য জেলা প্রশাসক অতুল সরকার নিজ উদ্যোগে নগদ সহায়তা করছেন। সেবা প্রার্থীদের দু’চারজন আবার টাকা নিতে অনিচ্ছুক। তাদের দাবী ঔষুধ কিনে দিতে হবে। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষনিক টাকা দিয়ে ঔষুধের দোকান হতে ঔষুধ আনিয়ে দিচ্ছেন। জটিল রোগীদের চিকিৎসায় বেশি টাকা খরচ হতে পারে; তাই জটিল রোগীদের জন্য সরকার প্রদত্ত বরাদ্দ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করছেন।

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ সকাল সকালই অতুল সরকারের দ্বারে হাজির হয়েছে আখি আক্তার। বয়স ১৬ বছর। ফরিদপুর জেলা সদরের উত্তর দিকে একটি ইউনিয়নের গ্রামীন বাসিন্দা। পড়াশোনা করছে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে। বাড়িতে আখির আরো ছোট দুই ভাই রয়েছে। একজন একটি এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। অন্যজনের বয়স ৩ বছর। তাদের পিতা আলম শেখ অসুস্থ। কোন কাজ কর্ম করতে পারে না। যৎকিঞ্চিৎ ফসলি জমির উপর নির্ভরশীল পুরো পরিবার। কোন মতে দুবেলা দুমুঠো খাবার পেলেও বাবার চিকিৎসা করাতে পারছে না। তাই অসুস্থ বাবাকে নিয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের দ্বারে হাজির। জেলা প্রশাসক তার কথা শুনে এবং অসুস্থ বাবাকে দেখে তাকে নগদ সহায়তা করলেন।

শুধু আখির বাবাকেই নয়, জেলা সদরের তাম্বুল খানা-কুজুর দিয়ার বিলকিছ বেগম, হালিমুন খাতুন, ভাটিলক্ষীপুরের রেহেনা খাতুন, কানাইপুর পশ্চিম গঙ্গাবদ্দীর আঃ ছাত্তার শেখ, মালাম দরানী, নিখরদী পশ্চিম বিলনালিয়ার মোঃ মাহমুদুল হাসান, আবদুল্লাহ সাকিন, চর কমলাপুরের রাশেদা, ববিতা, বিল মামুদপুরের লিলি বেগম, গোয়ালচামটের দীপক চন্দ্র শীল, কবিতা রানী শীল, বিহারী কলোনীর হাওয়া বেগম, বোয়ালমারী উপজেলার লষ্করদয়িার অমল বিশ্বাস প্রমুখকে আর্থিক সহায়তা, অধিক সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সাধারণত প্রতিদিনই জনসাধারণের কথা শুনে থাকেন। তবে বিশেষভাবে প্রতি বুধবার দীর্ঘ সময় নিয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এতে জমির একসনা বন্দোবস্ত প্রাপ্তি, আইনগত সহায়তা, আর্থিক সাহায্য, টিআর, জিআর. সরকারি ডেউটিন, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তি, বিধবা ভাতা প্রাপ্তি, বাল্য বিবাহ রোধ, জমিজমা বিরোধ সংক্রান্ত, ঘর মেরামত , পড়ালেখার খরচ চালানো, শীতের পোষাক প্রাপ্তি, ধর্মীয় কার্যাদিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জেলার নাগরিকগন জেলা প্রশাসককে জানান। জেলা প্রশাসক সেসব সমস্যা সমাধান করে থাকেন।

Tag :
জনপ্রিয়

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম

ডাক্তার নন! তবুও দরিদ্র অসুস্থ মানুষের ভরসা ব্যক্তিত্ব অতুল সরকার

Update Time : ০৪:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

দরিদ্র অসুস্থ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন অতুল সরকার। নানা জনের নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি দরিদ্র অসুস্থ ব্যক্তিদের গুরুত্ব দিয়ে সেবা দিচ্ছেন। তিনি কিন্তু কোন ডাক্তার নন! তিনি একজন জেলা প্রশাসক; ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

জেলার দরিদ্র অসুস্থ মানুষেরা যে কোনো সমস্যায় সরাসরি এসে কথা বলছেন জেলা প্রশাসকের সাথে। কারো কিডনীতে সমস্যা, কারো ক্যান্সার, কারো বা বিষ ব্যাথা, কারো চোখে সমস্যা, কারো বা এর চাইতেও জটিল সমস্যা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তারা। জেলা প্রশাসক অতুল সরকার দরিদ্র অসুস্থ মানুষের কথা শুনছেন। কাউকে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন  ক্যান্সার হাসপাতালে, কাউকে কিডনী চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে পাঠাচ্ছেন। কাউকে পাঠাচ্ছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আবার কাউকে পাঠাচ্ছেন ফরিদপুর সদর হাসাপাতালে।

প্রতিনিয়তই সেবা সাহায্যের জন্য অসংখ্য মানুষ হাজির হচ্ছেন জেলা প্রশাসকের দ্বারে। জানাচ্ছেন তাদের সমস্যা। ছোট ছোট অসুস্থতা জনিত সমস্যার জন্য জেলা প্রশাসক অতুল সরকার নিজ উদ্যোগে নগদ সহায়তা করছেন। সেবা প্রার্থীদের দু’চারজন আবার টাকা নিতে অনিচ্ছুক। তাদের দাবী ঔষুধ কিনে দিতে হবে। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষনিক টাকা দিয়ে ঔষুধের দোকান হতে ঔষুধ আনিয়ে দিচ্ছেন। জটিল রোগীদের চিকিৎসায় বেশি টাকা খরচ হতে পারে; তাই জটিল রোগীদের জন্য সরকার প্রদত্ত বরাদ্দ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করছেন।

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ সকাল সকালই অতুল সরকারের দ্বারে হাজির হয়েছে আখি আক্তার। বয়স ১৬ বছর। ফরিদপুর জেলা সদরের উত্তর দিকে একটি ইউনিয়নের গ্রামীন বাসিন্দা। পড়াশোনা করছে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে। বাড়িতে আখির আরো ছোট দুই ভাই রয়েছে। একজন একটি এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। অন্যজনের বয়স ৩ বছর। তাদের পিতা আলম শেখ অসুস্থ। কোন কাজ কর্ম করতে পারে না। যৎকিঞ্চিৎ ফসলি জমির উপর নির্ভরশীল পুরো পরিবার। কোন মতে দুবেলা দুমুঠো খাবার পেলেও বাবার চিকিৎসা করাতে পারছে না। তাই অসুস্থ বাবাকে নিয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের দ্বারে হাজির। জেলা প্রশাসক তার কথা শুনে এবং অসুস্থ বাবাকে দেখে তাকে নগদ সহায়তা করলেন।

শুধু আখির বাবাকেই নয়, জেলা সদরের তাম্বুল খানা-কুজুর দিয়ার বিলকিছ বেগম, হালিমুন খাতুন, ভাটিলক্ষীপুরের রেহেনা খাতুন, কানাইপুর পশ্চিম গঙ্গাবদ্দীর আঃ ছাত্তার শেখ, মালাম দরানী, নিখরদী পশ্চিম বিলনালিয়ার মোঃ মাহমুদুল হাসান, আবদুল্লাহ সাকিন, চর কমলাপুরের রাশেদা, ববিতা, বিল মামুদপুরের লিলি বেগম, গোয়ালচামটের দীপক চন্দ্র শীল, কবিতা রানী শীল, বিহারী কলোনীর হাওয়া বেগম, বোয়ালমারী উপজেলার লষ্করদয়িার অমল বিশ্বাস প্রমুখকে আর্থিক সহায়তা, অধিক সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সাধারণত প্রতিদিনই জনসাধারণের কথা শুনে থাকেন। তবে বিশেষভাবে প্রতি বুধবার দীর্ঘ সময় নিয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এতে জমির একসনা বন্দোবস্ত প্রাপ্তি, আইনগত সহায়তা, আর্থিক সাহায্য, টিআর, জিআর. সরকারি ডেউটিন, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তি, বিধবা ভাতা প্রাপ্তি, বাল্য বিবাহ রোধ, জমিজমা বিরোধ সংক্রান্ত, ঘর মেরামত , পড়ালেখার খরচ চালানো, শীতের পোষাক প্রাপ্তি, ধর্মীয় কার্যাদিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জেলার নাগরিকগন জেলা প্রশাসককে জানান। জেলা প্রশাসক সেসব সমস্যা সমাধান করে থাকেন।