ফরিদপুর জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের উন্নয়নে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন শারমীন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের আমন্ত্রনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান শারমীন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন ও হা-মীম গ্রুপের পরিচালক মো. বেলাল হোসেন। এসময় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার শিল্পপতি ইসমাইল হোসেন ও বেলাল হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে শিল্পপতি ইসমাইল হোসেন জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের উন্নয়নে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষনা দেন।
পরে দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত ডিক্রিরচর ইউনিয়ন রক্ষায় বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিল্পপতি ইসমাইল হোসেন।
শারমিন গ্রুপের অর্থায়নে ও নদী গবেষনা ইনস্টিটিউট এর কারিগরি সহায়তায় মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভূইয়া ডাঙ্গী গ্রামের নদীর পাড়ে বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথম পর্যায়ে এক হাজার মিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যায় হবে ১৫লাখ টাকা। আর পুরো টাকাটা দিয়ে সহযোগিতা করছে ডিক্রিরচর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান শারমিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন।
ডিক্রিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান মিন্টুর সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আসলাম মোল্যা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, শারমিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, হা-মীম গ্রুপের পরিচালক মো. বেলাল হোসেন, ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম রেজা এবং নদী গবেষনা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক কাজী রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিক্রিরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান ফজল, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা একেকের নির্বাহী পরিচালক এ এম জলিল, এবিএম আলাউদ্দিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল জলিল প্রমুখ।
শারমিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার জন্মস্থান এটা, আমার শৈশব কেটেছে এখানে, এখন সামর্থ হয়েছে এলাকার মানুষের জন্য কিছু করার। তাই সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে ডিক্রিরচরের স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছি আমরা। এখন এই জনবসতিকে নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষায় সবাই মিলে চেষ্টা করছি। তারই অংশ হিসাবে আজ নদী তীরে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের সূচনা হলো। আমরা চেষ্টা করব চরাঞ্চলের মানুষের সবধরনের সমস্যা সমাধানে তাদের পাশে থাকতে।