গতকাল রবিবার এ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীসহ মোট ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর আগের দিন গত শনিবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দুইজন জমা দেন।
গতকাল রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অমিতাভ বোস দুপুর আড়াইটার দিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর আগে গত শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ফরিদপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ মাহাতাব আলী। তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
নিজেকে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মনে করেন না শেখ মাহাতাব আলী। তিনি বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র হচ্ছে সর্বদলীয় প্রার্থী। অর্থাৎ দল নিরপেক্ষ প্রার্থী।’
অন্যদের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ আব্দুস সালাম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শহরের হাড়োকান্দি হাবেলি রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা খন্দকার তৌফিক এনায়েত।
রবিবার বিকেলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী নায়াব ইউসুফ মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে যাওয়ার পর পরই একে একে মনোনয়নপত্র জমা দেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গী, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে কিবরিয়া ও মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ তাবরিজ।
নিজেকে বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে স্বীকার করতে রাজি হননি মহা নগর বিএনপির সভাপতি বেনজীর আহমেদ। বেনজীর এর আগে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিদ্রোহী নই, বলা যায় এক্স্ট্রা প্লেয়ার কিংবা ডামি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। দলীয় মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাছাইকালে কোন সমস্যা হলে আমি ঢাল হিসেবে কাজ করবো।
প্রায় অভিন্ন মতামত ব্যাক্ত করে জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে কিবরিয়া বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার দুঃশাসনের অংশ হিসেবে দলীয় প্রার্থীর মােননয়নপত্র কোন কৌশলে বাদ দেওয়া হলে আমাদের প্রার্থীতা তখন কাজে দেবে। আমরা তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী নই, এটি আমাদের নির্বাচনী রণ কৌশল মাত্র।’
এ নির্বাচন অফিস সুত্রে জানাযায়, বর্ধিত ফরিদপুর পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মোট ২০৮জন মােননয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া নয়টি সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৫২ জন।
এদিকে মধুখালী পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে মোট তিনজন মনোনয়নপত্র জাম দিয়েছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বর্তমান মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মধুখালী পৌর বিএনপির সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ সতেজ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা মিলন।
মধুকালী পৌরসভার নয়টি ওযার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪ এবং সংরক্ষিত তিনটি মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪জন মােননয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র বাছাই করা হhc আজ মঙ্গলবার। আগামী ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর সদর ও মধুখালী পৌরসভার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করার কথা।