ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে মুক্তি সংগ্রামের মহানায়কের নামে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ” রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল রবিবার ওই কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ প্রস্তাব গৃহিত হয়। প্রস্তাবটি চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ওই একাডেমিক কাউন্সিলের সভায়।
গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের তৃতীয় তলায় অবস্থিত সম্মেলন কক্ষে এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি প্রস্তাব আকারে লিখিতভাবে উপস্থাপন করেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাশতুবা মোশাররফ ঐশিকা। ছাত্রলীগের ওই নেত্রী প্রস্তাবটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন। পরে প্রস্তাবটি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পেশ করার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, ওই সভায় একাডেমিক কাউন্সিলের ১২৫ জন সদস্য ছাড়াও কলেজের সকল শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নাসিং কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ, সন্ধানী ডোনার ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য পাঠদান ও সেবায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজকে এক নম্বর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। এজন্য আমরা এক নম্বর নামটি বেছে নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর সাখে ফরিদপুরের অনেক স্মৃতি জড়িত আছে। সেই স্মৃতি জাগরুক রাখতে কলেজের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ যাত্রা শুরু করে ১৯৯২ সালের ১৭ই মার্চ। ১৭ মার্চ বাঙালির অবিংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। আমদের প্রত্যাশা এ বছর ১৭ই মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের আবেদনের সাড়া দিয়ে কলেজের নতুন নামকরণটি অনুমোদন করবেন।
এদিকে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কলেজের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ নাম রাখিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিকেলে ফরিদপুর শহরে একিট আনন্দ মিছির বের করা হয়। মিছিলটি ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হযে শহরের বিভিন্ন সড়ক অতিক্রম করে।